বোর্ডে ছিলো না বেশি পুঁজি, মাত্র ১৭৮ রান। তবে এই পুঁজি নিয়েই লড়াই করেছে বাংলার মেয়েরা। ভাগ্য সাথে ছিল না বলাই যায়, আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত চার উইকেটে হেরেছে বাঘিনীরা। এর আগে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ভারতের গোয়াহাটিতে ১৭৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বেকায়দায় পড়ে ইংলিশরা। প্রথম ওভারেই অ্যামি জোন্সকে ফিরিয়ে উৎসব এনে দেন মারুফা আক্তার।
দ্বিতীয় ওভারে ফিরে আবারও দলকে উৎসব এনে দেওয়ার উপলক্ষ্য তৈরি করেন মারুফা। হিদার নাইটের বিরুদ্ধে করা বাংলাদেশি পেসারদের এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। যদিও রিভিউতে বেঁচে যান ইংলিশ ব্যাটার। এই হিদার নাইটই ম্যাচের প্রেক্ষাপট বদলে দেন। কারণ, একটা পর্যায়ে ৭৮ রানে টপ-মিডল অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড।
একটা সময় মনে হচ্ছিল পাশার দান উল্টে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত হিদার নাইটের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে আসরে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল ইংল্যান্ড।
শূন্য রানে জীবন পাওয়া হিদার যখন বিজয়ের হাসিতে মাঠ ছাড়েন তখন তার নামের পাশে যুক্ত ছিল ৭৯ রান। প্রায় ১৭৪ মিনিট মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকেন তিনি। ১১১ বলের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতে।
চলতি পথে হিদারকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক ব্রান্ট। আর শেষ দিকে কচ্ছপ গতির ইনিংস খেলে চার্লি দলকে জয় বন্দরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেন।
বাংলাদেশের হয়ে ফাহিমা খাতুন তিনটি, মারুফা দুটি এবং সানজিদা একটা উইকেট নেন।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ২৯ বলে ২৪ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ও শারমিন আকতার। ৯ বলে ৪ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন রুবাইয়া।
প্রথম উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে এসে মাত্র ২ বল খেলে খালি হাতে সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ক্রিজে সেট হয়ে দলীয় ৫৯ রানে আউট হন শারমিনও। ৬টি চারে ৫২ বলে ৩০ রান করেন তিনি।
এরপর মিডল অর্ডারের চার ব্যাটার বেশিক্ষণ টিকতে না পারলে ১৩০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্বর্ণা আকতার ১০, রিতু মনি ৫, ফাহিমা খাতুন ৭ ও নাহিদা আকতার ১ রানে থামেন।
সতীর্থদের যাওয়া আসার মাঝে এক প্রান্ত আগলে ইংল্যান্ড বোলারদের সামনে লড়াই করেছেন সোবাহানা। চার নম্বরে নেমে ৯২ বল খেলে ২৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন সোবাহানা। অর্ধশতকের পর বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। ৮টি চারে ১০৮ বল খেলে ৬০ রানে আউট হন এই ডান-হাতি ব্যাটার।
দলীয় ১৫৬ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সোবাহানার আউটের পর বাংলাদেশকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছেন নয় নম্বরে ব্যাট হাতে নামা রাবেয়া। তার মারমুখী ইনিংসের সুবাদে ৪৯.৪ ওভারে ১৭৮ রান করে বাংলাদেশ। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ৪৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন রাবেয়া। ২৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান রাবেয়ার।
ইংল্যান্ডের সোপিয়া একলেস্টোন ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন।