১৫৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। অন্যপ্রান্তে সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে একাই দাঁড়িয়ে গেলেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে শনিবার (৪ অক্টোবর) তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৩ উইকেটে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজটি ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অবশ্য ভেসে যায় বৃষ্টিতে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৫৬ রানের পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। জবাবে অজিরা ১২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেট খুইয়ে পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।
রান তাড়ায় ওপেনিংয়ে নেমে মার্শ অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ৫৭ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন আটটি চার ও সাতটি ছক্কা। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তার তৃতীয় শতক, জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের মোট রানের তিন ভাগের দুই ভাগই করেন তিনি। বাকি আট ব্যাটার মিলে আনেন মোটে ৪৯ রান। অতিরিক্ত খাত থেকে আসে বাকি ৮ রান।
খুনে ব্যাটিংয়ে বেশ কিছু কীর্তি গড়লেন ডানহাতি মার্শ। তৃতীয় অজি অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েটিতে সেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন তিনি। আগের দুজন ছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ ও শেন ওয়াটসন। এই সংস্করণে রান তাড়ায় শতক হাঁকানো অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ব্যাটারও তিনি। বাকিরা হলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (তিনবার) ও টিম ডেভিড।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে রান তাড়ায় সেঞ্চুরি পেলেন মার্শ। এতদিন একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে কীর্তিটি ছিলো পাকিস্তানের বাবর আজমের (দুবার)।
নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা কখনোই স্লো হতে দেননি মার্শ। যদিও একাদশ ওভারে দলীয় ৯৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু মার্শ তেতে থাকায় স্বাগতিকরা পারেনি সিরিজে সমতা টানতে। ১০ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন সাতে নামা মিচেল ওয়েন। নয়ে নামা শন অ্যাবট অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ১৩ রানে।
এর আগে টিম সেইফার্ট ৩৫ বলে ৪৮, মাইকেল ব্রেসওয়েল ২২ বলে ২৬ ও জিমি নিশাম ১৮ বলে ২৫ রান করলেও নিউজিল্যান্ডকে থামতে হয় দেড়শ পেরিয়ে। অ্যাবট, অ্যাডাম জ্যাম্পা ও জাভিয়ের বার্টলেট বল হাতে আঁটসাঁট থাকায় শেষ ৫ ওভারে তারা তুলতে পারে কেবল ২৯ রান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে নিশাম পরে ২৬ রানে ৪ উইকেট নিলেও লাভ হয়নি।