spot_img

হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিবেন বিজয়, কত টাকা পাচ্ছেন নিহতদের পরিবার?

অবশ্যই পরুন

ভারতীয় অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ বিজয়ের রাজনৈতিক সমাবেশে গতকাল ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। একের পর এক মৃত্যুর খবরে ভারী হয়ে উঠছে দক্ষিণের আকাশ। তামিলনাড়ুর করুর জেলায় আয়োজিত বিজয়ের এই সমাবেশে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ জন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন নারী, ৯ জন পুরুষ এবং ৬ শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রমানিয়ান। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।

জনসভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এদিকে, জনসভায় ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিলেন বিজয়। এ অভিনেতা বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

সান্ত্বনার যতই কথা বলা হোক না কেন, আপনজন হারানোর বেদনা অসহনীয়। তবুও, পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি প্রতিটি পরিবারকে, যারা আপনজন হারিয়েছেন তাদের ২০ লাখ টাকা এবং যারা আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। এই অর্থের পরিমাণ অবশ্যই এমন ক্ষতির তুলনায় নগণ্য। তবে এই মুহূর্তে পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আপনাদের পাশে থেকে আন্তরিক সমর্থন জানানোই আমার কর্তব্য।’

এর আগে, দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অভিনেতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আমার হৃদয় ভেঙে গেছে; আমি অসহনীয়, ভাষায় বর্ণনা করা যায় না এমন যন্ত্রণা ও শোকে কাতর। কারুরে প্রাণ হারানো আমার প্রিয় ভাই-বোনদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’

সদ্য রাজনীতিতে পা দেওয়া বিজয় ভোটমুখী তামিলভূমে জোর প্রচারে নেমেছেন। শনিবার কারুরে একটি শোভাযাত্রা ও জনসভার আয়োজন করেছিল টিভিকে।

সেই জনসভার মূল বক্তা ছিলেন বিজয়। জানা গিয়েছে, ওই সভায় ডিএমকের প্রাক্তন মন্ত্রী সেন্থিল বালাজিকে নিয়ে একাধিক বাক্যবাণ ছুড়ছিলেন তিনি। আচমকাই সেই সময় উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। মাঝপথেই বক্তৃতা থামিয়ে দেন বিজয়। বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, অভিনেতাকে ছুঁয়ে দেখার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় উপস্থিত জনতার মধ্যে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, জনসভায় অনেক বেশি ভিড় হয়েছিল। উদ্যোক্তারা আশা করেননি এত লোকের জমায়েত হবে। বিজয় বক্তৃতা দিতে উঠতেই ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে। তার ফলেই জনতার মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে কয়েকজন দলীয় কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকটি শিশু জ্ঞান হারায়। দ্রুত অসুস্থদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা মহানগরের ৮৯ মন্দির অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত: ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন ঢাকা মহানগরে ২৫৪টি মন্দিরের মধ্যে ৮৯টি মন্দিরকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ