নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মঞ্চে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘শান্তির সময় এসেছে। গাজায় চলমান যুদ্ধের কোনো ন্যায্যতা নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি গড়তে ব্যর্থ হয়েছে। এখনই দুই রাষ্ট্র সমাধানের পথে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
একইসঙ্গে ফ্রান্স ও সৌদি আরব জাতিসংঘে এক দিনের সম্মেলনের আয়োজন করে, যেখানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্র সমাধান। তবে জি–৭ এর সদস্য জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্র এ বৈঠকে অংশ নেয়নি।
এদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করা। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হয়। সেই ঘটনার পর থেকে চলমান অভিযানে গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজার পরিস্থিতিকে ‘নৈতিক, আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে অসহনীয়’ আখ্যা দিয়ে বলেন, দুই রাষ্ট্র সমাধানই ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তির একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য পথ।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র, যেখানে কোনো অস্ত্র থাকবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ ও ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ শান্তির ওপর নির্ভরশীল।’
ফ্রান্স জানিয়েছে, গাজায় স্থিতিশীলতা আনতে তারা শান্তিরক্ষী মিশনে অংশ নিতে প্রস্তুত। তবে প্যারিসে ফিলিস্তিন দূতাবাস খোলা হবে কেবল তখনই, যখন জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগেই ঘোষণা করেছেন, জর্ডান নদীর পশ্চিমে কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্নই ওঠে না। দেশটির রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হারজগও বলেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া কেবল ‘অন্ধকার শক্তিকে উসকে দেবে’।