spot_img

অন্যের ভালো চাইলে নিজের ভালো হয়

অবশ্যই পরুন

অন্যের জন্য কল্যাণকামিতা নিজের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। এটি ঈমানেরও একটি অংশ। তাইতো মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে কল্যাণকামি হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। এমনকি তাঁদের থেকে অপর মুসলিম ভাইয়ের কল্যাণকামী হওয়ার বাইআত পর্যন্ত গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, মহান আল্লাহও পবিত্র কোরআনে তাঁর বান্দাদের মুমিন ভাইয়ের প্রতি কল্যাণকামী হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। তাদের প্রতি আন্তরিকতা বৃদ্ধির দোয়া করার শিক্ষা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! ক্ষমা কর আমাদেরকে এবং আমাদের সেই ভাইদেরকেও, যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে এবং আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি কোন হিংসা-বিদ্বেষ রেখ না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি অতি মমতাবান, পরম দয়ালু।’ (সুরা হাশর, আয়াত : ১০)

এই আয়াতটি বিশেষ একটি প্রেক্ষাপটে নাজিল হলেও এর দ্বারা বোঝা যায়, এক মুমিনের জন্য অপর মুমিনকে হিংসা করা বা তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা জায়েজ নয়। বরং এক মুমিন অপর মুমিনের কল্যাণ কামনা করতে হবে। তাকে দাবিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত না থেকে তার উপকার করার চেষ্টা করবে।

কারণ কল্যাণকামিতা এমন একটা চারিত্রিক গুণ, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়। যে মুমিন তার অপর মুমিন ভাইয়ের কল্যাণের জন্য দোয়া করে, আল্লাহর ফেরেশতারা সেই মুমিনের কল্যাণের জন্য দোয়া করে। সুবহানাল্লাহ। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমান বান্দা তার ভাই এর অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করলে একজন ফেরেশতা তার জবাবে বলে, আল্লাহ তোমাকেও অনুরূপ দান করুন। (মুসলিম, হাদিস : ৬৬৭৮)

উল্লিখিত হাদিসে অপর ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে দোয়া করার কথা বিশেষ ভাবে এই জন্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, এতে মুমিনের ভাইয়ের প্রতি তার গভীর আন্তরিকতা ও শক্তিশালী ভালোবাসা স্পষ্ট হয়। দোয়ায় পরিপূর্ণ ইখলাস ফুটে উঠে। প্রকাশ্যে সামনা সামনি দোয়ায় অনেক ক্ষেত্রে রিয়া ও হীন স্বার্থের অনুপ্রবেশ ঘটার সুযোগ থাকে। মানুষ অনেক সময় আর্থিক ভাবে লাভবান হতে কিংবা কোনো সুবিধা গ্রহণ করতে প্রভাবশালী ব্যক্তি বা তার অনুসারীদের সামনে অনেক কৃত্রিম আন্তরিকতা প্রকাশ করে, শুনিয়ে শুনিয়ে দোয়া করে, কিন্তু তাদের অন্তরে মূলত কোনো শ্রদ্ধা বা আন্তরিকতা থাকে না, থাকে শুধুই স্বার্থ।

তাই মুমিনের উচিত, পরিপূর্ণ ইখলাস ও ভালোবাসা নিয়ে অপর মুমিনের কল্যাণের দোয়া করা। এতে করে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অপর মুমিন ভাইয়ের যেমন উপকার হবে, তেমনি নিজেরও উপকার হবে। কেননা আল্লাহ যেসব দোয়া খুব দ্রুত কবুল করেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো, অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য অনুপস্থিত ব্যক্তির দোয়া। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় সবচে দ্রুত কবুল হওয়ার দোয়া হলো অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য অনুপস্থিত ব্যক্তির দোয়া। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৩৫)

তাই কেউ যদি চায় যে তার জীবনে বরকত, কল্যাণ ও সফলতা আসুক। তাহলে তার উচিত, অন্যের সফলতার পথের কাটা না হয়ে তার জীবনের বরকত, কল্যাণ ও সফলতার জন্য দোয়া করা।

সর্বশেষ সংবাদ

মিশর সম্মেলনে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

মিশরের শারম আল-শেখে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঐতিহাসিক গাজা শান্তিচুক্তিটি সই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ