লেবাননের ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবের সঙ্গে অতীতের বিরোধ ভুলে একটি নতুন অধ্যায় শুরুর আহ্বান জানিয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হিজবুল্লাহর প্রধান নাইম কাসেম সৌদি আরবকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার জন্য এই প্রস্তাব দেন।
টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে নাইম কাসেম বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান হুমকি হিজবুল্লাহ নয়, বরং ইসরায়েল। তিনি রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বলেন, “আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, হিজবুল্লাহর অস্ত্রগুলো লেবানন, সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশের দিকে তাক করা নয়, বরং শুধুমাত্র ইসরায়েলের শত্রুদের দিকে তাক করা।”
কাসেম আরও বলেন, হিজবুল্লাহর ওপর চাপ প্রয়োগ করলে তা কেবল ইসরায়েলেরই লাভ হবে। তিনি সৌদি আরবকে ইসরায়েলের মোকাবিলায় একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
২০১৬ সালে সৌদি আরব এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলো হিজবুল্লাহকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। লেবাননে হিজবুল্লাহর ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে সৌদি আরব ক্ষুব্ধ ছিল। বিশেষ করে, ২০২১ সালে লেবাননের একজন মন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে সৌদি আরব লেবানন থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় এবং লেবাননের আমদানি নিষিদ্ধ করে। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কে তীব্র অবনতি ঘটে।
সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। গত বছর ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে আক্রমণ করে তাদের তৎকালীন মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে। এরপর ডিসেম্বরে সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর মিত্র বাশার আল-আসাদকে বিদ্রোহীরা ক্ষমতাচ্যুত করে। এই পটভূমিতেই হিজবুল্লাহ সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার আগ্রহ দেখাচ্ছে।