জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একাধিক পরামর্শ দিলে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার শুরুতে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সনদ পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের বিষয়ে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে চাচ্ছি। কারণ প্রধান উপদেষ্টা ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যাবেন। তবে ব্যর্থ হলে তা ২ অক্টোবরের পরে চলে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তে একমত হতে পারবে বলে আশা করছি। এ সময় গণভোট ও সাংবিধানিক আদেশের বিষয়ে দলগুলো ভিন্নমত কাটিয়ে উঠে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এদিকে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনকে চারটি পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। সনদটি অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট ও বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ প্যানেল প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করেছিল। তা হলো, অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া। পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনার করে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়গুলো (ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্টসহ) বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়ার বিষয়টিকে বাদ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
প্রসঙ্গত, কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে রয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরিফ ভূইয়া ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।