spot_img

মাদ্রিদে যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য বৈঠক শুরু

অবশ্যই পরুন

স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এই আলোচনা শুরু হয়। এমন সময় দেশ দুইটি এই আলোচনায় বসলো, যখন ওয়াশিংটন করছে দাবি ইউরোপীয় মিত্ররা যেন বেইজিংয়ের ওপর শুল্ক আরোপ করে, কারণ চীন রাশিয়ার তেল ক্রয় অব্যাহত রেখেছে।

এই আলোচনায় চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হে লিফেং এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ চার দিনব্যাপী এই আলোচনা চলবে বুধবার পর্যন্ত।

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস মাদ্রিদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষকে স্বাগত জানান। আলবারেস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “স্পেনের পররাষ্ট্রনীতি সবসময়ই সংলাপ ও সমঝোতার পক্ষে কাজ করে। উভয় পক্ষ আলোচনার জন্য মাদ্রিদকে বেছে নেয়ায় আমরা গর্বিত।”

গত চার মাসে এটি দেশ দুইটির চতুর্থ বৈঠক। রোববার সকালে দুই প্রতিনিধি মাদ্রিদে পৌঁছানোর ঘণ্টাখানেক পরই বৈঠক শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণে সংকটে থাকা ওয়াশিংটন–বেইজিং বাণিজ্য সম্পর্ক ভেঙে পড়া থেকে বাঁচাতে এ প্রচেষ্টা চলছে।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এর মধ্যে টিকটক ও অর্থপাচার নেটওয়ার্ক মোকাবিলায় সহযোগিতার বিষয়ও রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ওপর দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ২০২৪ সালে মার্কিন কংগ্রেস দ্বিদলীয় আইন পাস করে, যেখানে বলা হয় টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম বিক্রি করতে হবে, না হলে দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। তবে এ বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়িয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করেছেন। এটি ছিল সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের তৃতীয়বারের মতো সময়সীমা বৃদ্ধি।

গত সপ্তাহে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে হবে, পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে কার্যরত চীনা কোম্পানির জন্য একটি “উন্মুক্ত, ন্যায্য, সুষ্ঠু ও বৈষম্যহীন ব্যবসায়িক পরিবেশ” নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া আগস্টের শুরুর দিকে ট্রাম্প আরেকটি নির্বাহী আদেশে চীনের ওপর শুল্ক স্থগিতের মেয়াদ আরও ৯০ দিন বাড়িয়ে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত করেন। তবে স্থগিতাদেশ চলাকালে ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর থাকছে। বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতি এর আগেও শুল্কযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, যা ট্রাম্প শুরু করেছিলেন। এর ফলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়, পরে দুই দেশই কিছু শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়।

ট্রাম্প ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন এবং আরও বহু দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্র : আনাদোলু

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ