spot_img

বন্দিদের মুক্তির ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা নেতানিয়াহু– ইসরায়েলি পরিবারগুলোর অভিযোগ

অবশ্যই পরুন

হামাসের কাছে এখনও বন্দি থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারগুলো অভিযোগ করেছে, বন্দিদের মুক্তির ক্ষেত্রে একমাত্র বাধা দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেটানিয়াহু-ই।

ইসরায়েলি বন্দিদের জন্য গঠিত একটিএকটি ফোরাম সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছে, ‘ইসরায়েলের গত সপ্তাহের কাতার আক্রমণ দেখায় যে প্রতিবার শান্তি চুক্তি আসার পথে, নেটানিয়াহু তা ধ্বংস করে দেন।’

গত সপ্তাহে, ইসরায়েল কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের সিনিয়র নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়, যার ফলে হামাসের পাঁচ সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নেতানিয়াহু বলেছেন, কাতারে হামাস নেতাদের ধ্বংস করলে ‘বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধে সমাপ্তি আনার প্রধান বাধা দূর হবে।’

এমন পরিস্থিতির মধ্যে মার্কো রুবিও শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েল সফর করেছেন এবং নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের কাতার আক্রমণের কারণে বিশ্বব্যাপী নিন্দার মুখে পড়েছে।

তবে বন্দিদের পরিবারগুলো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াকে ‘প্রিয়জনদের বাড়ি ফিরাতে ব্যর্থ হওয়ার সর্বশেষ অজুহাত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

বন্দিদের পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কাতারে পরিচালিত লক্ষ্যভিত্তিক অভিযান নিঃসন্দেহে প্রমাণ করেছে যে ৪৮ বন্দি ফিরিয়ে আনা এবং যুদ্ধ শেষ করার একমাত্র বাধা হল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এখন সময় এসেছে অজুহাত শেষ করার, যা শুধু তার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তৈরি।’

ফোরামটি আরও উল্লেখ করেছে, নেতানিয়াহুর ‘স্থবিরতা’ ইতোমধ্যে ৪২ বন্দির জীবন হারানোর কারণ হয়েছে এবং বাকি বন্দিদের জীবনও ঝুঁকিতে রেখেছে।

রুবিও ইসরায়েল যাত্রার আগে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারে হামলা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না, তবে মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক ‘খুবই দৃঢ়’ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমরা খুশি নই, প্রেসিডেন্টও খুশি ছিলেন না। এখন আমাদের এগিয়ে যেতে হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে হবে।’

রুবিও যোগ করেছেন, ট্রাম্পের অগ্রাধিকার হলো সব বন্দিকে ফেরানো এবং গাজার যুদ্ধ শেষ করা।

দোহায় হামলা কাতারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে জটিল করেছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মাকিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেছেন, ‘ এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

কাতার মধ্যপ্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মিত্র এবং একটি বড় ইউএস বিমান ঘাঁটির অবস্থান এখানে। হামলার পর কাতার ইসরায়েলের আক্রমণকে ‘কুৎসিত’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে নিন্দা করেছে।

নেতানিয়াহু বলেছেন, এই পদক্ষেপ ‘সম্পূর্ণভাবে ন্যায়সঙ্গত’, কারণ এটি ৭ অক্টোবরের হামলার পরিকল্পনাকারী সিনিয়র হামাস নেতাদের লক্ষ্য করেছিল।

সূত্র: বিবিসি নিউজ।

সর্বশেষ সংবাদ

নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স প্রধানের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে সফররত মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল ইব্রাহিম হিলমি নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান এর সঙ্গে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ