spot_img

১৫ দিনের মধ্যে হিমাগার পর্যায়ে আলুর দাম বৃদ্ধি পাবে: কৃষি উপদেষ্টা

অবশ্যই পরুন

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী দাবি করেছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হিমাগার পর্যায়ে আলুর দাম বৃদ্ধি পাবে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে প্রতি কেজি আলু হিমাগার পর্যায়ে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য নির্দেশনা দেয়া হলেও কেজি প্রতি আলুর দাম বেড়েছে মাত্র ১ থেকে দেড় টাকা। ফলে শিগগিরই আলুর মূল্য বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ নিবে সরকার। এছাড়া সরকার আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার পরে আলুর বাজারজাতকর স্থবির হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে খুচরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, বড় ব্যবসায়ীদের প্রতি পুষিয়ে নিতে পাশে দাঁড়াবে সরকার।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ ও জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সূত্র জানা গেছে, নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মুন্সিগঞ্জে প্রায় অর্ধেক দামে সাড়ে ১১টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের আলু। সরকারের রপ্তানি মুখী উদ্যোগের অভাব, ক্রেতা ও পাইকার সংকটে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষি এবং ব্যবসায়ীদের।

কৃষক ও বেপারীদের অভিযোগ, গেল মৌসুমে আলুর উৎপাদন খরচ, সংরক্ষণ ব্যয়, পরিবহন ভাড়া ও শ্রমিকের মজুরিসহ প্রতি কেজিতে খরচ হয়েছে অন্তত ২৬ থেকে ২৭ টাকা। জমি থেকে আলু উত্তোলন শেষে মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে, তিন দফায় দরপতনের প্রভাবে বর্তমানে প্রতি কেজি আলুতে চাষিদের লোকসান হচ্ছে ১৩ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। এতে এবার মোটা অংকের লোকসানের সম্মুখীন প্রান্তিক আলু চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, এবার জেলার ৬টি উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়। এতে উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ ৬০ হাজার ১১৯ টন আলু, যা গত বছরের তুলনায় ১৯ হাজার ৬৯ টন বেশি। বর্তমানে জেলার ৭৪টি হিমাগারের মধ্যে সচল আছে ৫৮টি। এগুলোতে আলু সংরক্ষণের ধারণ ক্ষমতা সর্বসাকুল্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার টন। এর মধ্যে আবার জেলার বাইরে থেকে ২৫ শতাংশ আলু সংরক্ষণ করা হয় মুন্সিগঞ্জের হিমাগারগুলোতে। ওই হিসাবে জেলায় উৎপাদিত আলুর মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টনের কিছু বেশি হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পেরেছেন কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মার্চ থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ মাত্র ১৩ হাজার টন আলু খেয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৪৮ হাজার টন আলু অন্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। এরপরেও ১০ লাখ টন আলু হিমাগার ও বাড়িতে দেশীয় পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। এমন অতিরিক্ত জোগানই দাম কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

এছাড়া সারাদেশে এবার আলুর চাহিদা ছিল ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টন আলু। তবে উৎপাদন হয়েছে অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ টন। অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সরকারি নির্দেশনা মেনে আলু বিক্রি বাস্তবায়ন না হওয়ায়, চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জে আলু চাষেও ব্যবসায়ীদের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। তবে শিগগিরই আলুর মূল্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা নিবে সরকার কৃষি উপদেষ্টার এমন আশ্বাসে, কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মাঝে।

সর্বশেষ সংবাদ

জাকের ও লিটনদের পাওয়ার হিটিং শেখানো উড এখন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ

শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফে বড় রদবদল এনেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। দলের নতুন ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ