spot_img

শ্রীদেবীর সম্পত্তি নিয়ে আইনি জটিলতা, আদালতে অভিনেত্রীর স্বামী

অবশ্যই পরুন

ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি নায়িকা শ্রীদেবীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি ঘিরে ফের দেখা দিয়েছে বিতর্ক। প্রয়াত অভিনেত্রীর স্বামী, প্রযোজক বনি কাপুর মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তার অভিযোগ চেন্নাইয়ের ইস্ট কোস্ট রোড এলাকায় অবস্থিত শ্রীদেবীর বাংলোটি নিয়ে তিনজন ব্যক্তি বেআইনিভাবে মালিকানা দাবি করছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায় আদালতে বনি কাপুর জানান, ১৯৮৮ সালের ১৯ এপ্রিল শ্রীদেবী বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এম.সি. শম্ভান্দা মুদালিয়ার নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে বাংলোটি কিনেছিলেন। মুদালিয়ার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে মিলে বাড়িটি আইনগতভাবে বিক্রি করেছিলেন। সেই ভিত্তিতে শ্রীদেবী সম্পত্তির পূর্ণ মালিকানা পান।

তবে সম্প্রতি তিনজন ব্যক্তি দাবি তুলেছেন যে, বিক্রির সময় তাদের অনুমতি নেয়া হয়নি। এদের মধ্যে একজন নিজেকে মুদালিয়ার ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করছেন এবং অন্য দুইজন তার সন্তান। বনি কাপুরের বক্তব্য, ওই বিয়েই ছিল অবৈধ, কারণ প্রথম স্ত্রী ১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। সে কারণে তাদের দাবির কোনো ভিত্তি নেই।

কাপুর আরও অভিযোগ করেন, তিনজনকে যে উত্তরাধিকার সনদ দেয়া হয়েছে, সেটি বেআইনি। রাজস্ব কর্মকর্তার এ ধরনের সনদ দেওয়ার এখতিয়ার ছিল না। তিনি আদালতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সনদটি বাতিল করার জন্য। মামলার শুনানিতে বিচারপতি এন. আনন্দ ভেঙ্কটেশ তাম্বারাম তালুকের তহসিলদারকে চার সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

চেন্নাইয়ের এই বাংলো শ্রীদেবীর কাছে ছিল অত্যন্ত প্রিয়। দেশ–বিদেশ থেকে আনা আসবাবপত্র দিয়ে তিনি সাজিয়েছিলেন বাড়িটি। এখানে তার দুই কন্যা জাহ্নবী ও খুশির শৈশব কেটেছে। বর্তমানে বাংলোটি পরিবারের ফার্মহাউস হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। প্রসঙ্গত, শ্রীদেবী ১৯৯৬ সালে বনি কাপুরকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে জন্ম নেয় দুই কন্যা জাহ্নবী ও খুশি কাপুর। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেন অভিনেত্রী। মৃত্যুর পরও তার রেখে যাওয়া সম্পতি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

সর্বশেষ সংবাদ

আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না বাংলাদেশ: এম সাখাওয়াত

আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না বাংলাদেশ, বরং আশ্রিতদের নিজ মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ