spot_img

ডাকসু নির্বাচন: ভোটের দিন তিন স্তরের নিরাপত্তা, প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী

অবশ্যই পরুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ভোটের দিন তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী। এ ছাড়া প্রবেশমুখে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৭টি পয়েন্টে মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনী বলেও জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে ডাকসু ও হল সংসদের প্রার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।

প্রথম স্তরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)-এর ২০০-এর বেশি সদস্য থাকবে। প্রক্টরিয়াল বডির শিক্ষক সদস্যরাও থাকবেন। আর দ্বিতীয় স্তরে কেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। তৃতীয় স্তরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি প্রবেশমুখে অবস্থান করবেন। এমনকি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে ৫ মিনিটের মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কেন্দ্রে প্রবেশ করবে সেনা সদস্যরা। ভোট গ্রহন শেষ হলে কেন্দ্রগুলো নিরাপত্তা বেষ্টনিতে ঘিরে রাখবে সেনা সদস্যরা। এমনকি ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করবেন।

এ ছাড়াও বৈধ ভোটার ছাড়া ভোটের দিন ক্যাম্পাসে কেউ থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমনকি ভোটের আগের দিন এবং ভোটের দিন ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকবে।

এ সময় আরেক রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম জানান, মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের শহিদদের অবমাননা করে কোনো প্রচারণা চালাতে পারবেন না প্রার্থীরা।

আজ ডাকসু নির্বাচনের প্রচার–প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। বিকেল ৪টায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী প্রচারণা করতে পারবেন। গতকাল মঙ্গলবার চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, সাদা-কালো পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ছাপানো ও বিলি করা যাবে। পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিলে কোনো প্রার্থী নিজের সাদা-কালো ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হল এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রকার স্থাপনা, দেয়াল, যানবাহন, বেড়া, গাছপালা, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না।

আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিলের ক্ষতিসাধন করা যাবে না। কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ছাত্র সংগঠন, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কালি, চুন বা কেমিক্যাল ব্যবহার করে দেয়াল বা যানবাহনে কোনো লিখন, মুদ্রণ, ছাপচিত্র বা চিত্রাঙ্কন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশনায়।

প্রসঙ্গত, ২৬ আগস্ট থেকে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত ব্যক্তি অথবা সংগঠনের পরিচয়ে হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা কার্যক্রম চালানো যাবে। তবে এ সময়ের মধ্যে সামাজিক, আর্থিক, সেবামূলক সহযোগিতা বা কার্যক্রম পরিচালনা, মজলিশ-মাহফিল আয়োজন কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা প্রাঙ্গণে প্রচার চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।

সর্বশেষ সংবাদ

রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২৯ সেপ্টেম্বর

রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায়...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ