আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৯টি নদীর পানি সমতলে বাড়তে পারে। এতে অন্তত ৬ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুহুরী, সেলোনিয়া, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, নোয়াখালী খাল ও রহমতখালি খাল নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
ফলে ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত আশঙ্কা রয়েছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন নদীগুলোর পানি সমতল কমতে পারে। এ ছাড়া দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৱসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজমান আছে।
আগামীকাল সোমবারের মধ্যে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে এবং উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম ও ত্রিপুরা প্রদেশে মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিস্তা নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকতে পারে ও পরবর্তী দুই দিন কমতে পারে।
অপরদিকে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন কমতে পারে। তিস্তা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল আগামী পাচ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। এ ছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল আগামী পাচ ৫ দিন কমতে পারে।
সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিন কমতে পারে।
বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ার বিরাজমান আছে, যা আগামী তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।