ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। সফরকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতের কূটনীতিকরা। বুধবার (১৩ আগস্ট) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে।
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এক ভারতীয় কর্মকর্তা জানান, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সাধারণত দেশগুলো জাতিসংঘ সাধারণ বিতর্কের জন্য সময়সূচি সংরক্ষণ করে রাখে, তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২৬ সেপ্টেম্বরের প্রাথমিক বক্তাদের তালিকায় রয়েছেন। কর্মকর্তা বলেন, তালিকাটি এখনও সংশোধন হবে এবং মোদি আদৌ অধিবেশনে যোগ দেবেন কিনা তা ঠিক হয়নি।
সাধারণ পরিষদের কার্যক্রম শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর, তবে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের বার্ষিক বিতর্ক ২৩–২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। যদিও সফরের প্রধান উদ্দেশ্য নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেয়া, তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্কসংক্রান্ত অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধান করা।
সম্ভাব্য মোদি সফরের খবরটি এমন সময় এলো যখন রাশিয়ান তেল কেনা অব্যাহত রাখায় নয়াদিল্লিকে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যে ট্রাম্প সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকৃত ভারতীয় পণ্যের মোট শুল্কহার দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বাণিজ্য অংশীদারের ওপর আরোপিত সর্বোচ্চ হারের অন্যতম।
এর আগে নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে পাঁচ দফা আলোচনার পরও কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করা এবং রাশিয়ান তেল কেনা বন্ধ করার বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে বাণিজ্য আলোচনা ভেঙে যায়।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট মঙ্গলবার জানান, সুইজারল্যান্ড ও ভারতের সঙ্গে বড় কয়েকটি বাণিজ্য চুক্তি এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে ভারত ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় কিছুটা অনাগ্রহী মনোভাব দেখিয়েছে। ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের “কুডলো” অনুষ্ঠানে বেসেন্ট বলেন, তিনি আশা করেন ট্রাম্প প্রশাসন অক্টোবরের শেষ নাগাদ আলোচনাগুলো শেষ করতে পারবে। তার ভাষায়, “এটি আমাদের লক্ষ্য, এবং আমার মনে হয় আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমি মনে করি আমরা মূল দেশগুলোর সঙ্গে মৌলিক শর্তগুলোতে একমত হতে পারব।”
সূত্র : রয়টার্স