spot_img

ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব দিতে নতুন প্রস্তাব ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের

অবশ্যই পরুন

ব্রাজিলের কিছু পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাব কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়ে ব্রিকস দেশগুলোকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে ব্রিকস দেশগুলোকে নিয়ে বসতে চান ব্রাজিল। বুধবার (৬ আগস্ট) রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে একই দিনে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভারতের পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে, যা কার্যকর হবে আগস্টের শেষ নাগাদ। ভারতের মতো ব্রিকসের আরেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ব্রাজিলের ওপর চলতি মাসের শুরুতেই ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে অবৈধ ও তাদের অভ্যন্তরীণ নীতিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

লুলা বলেন, তিনি অন্যান্য ব্রিকস দেশের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং শুল্ক ইস্যুতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করছেন, এরপর ধাপে ধাপে অন্য ব্রিকেস নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।

লুলা বলেন, “আমি তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই, এই পরিস্থিতিতে তারা কে কোথায় দাঁড়িয়ে, এই শুল্কের প্রভাব তাদের দেশের জন্য কী, তা বুঝে আমরা যেন সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।”

ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্টের মতে, ট্রাম্প বহুপাক্ষিকতা ধ্বংস করে একক নেতৃত্বের দিকে যেতে চাইছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র একেক দেশের সঙ্গে একক ভিত্তিতে দর কষাকষি করে সুবিধা আদায় করে নেয়।

তিনি বলেন, “একটি ছোট লাতিন আমেরিকান দেশের যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কী দর কষার ক্ষমতা আছে? একেবারেই কিছু নেই।”

২০০৬ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন মিলে ব্রিকস গঠন করে। পরে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা যুক্ত হয়। সাম্প্রতিক সময়ের সম্প্রসারণের ফলে এই জোট সম্মিলিত জিডিপির দিক থেকে জি-৭ জোটকেও ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগেও ট্রাম্প ব্রিকস দেশগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন। তার অভিযোগ, এই দেশগুলো সম্মিলিতভাবে ডলারকে বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। তবে ব্রিকস দেশগুলো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, ওয়াশিংটনের নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতিই ডলারের অবস্থানকে দুর্বল করছে।

এছাড়া, ইউক্রেন সংকটে মস্কোকে অস্ত্রবিরতি মেনে নিতে চাপ দিতে রাশিয়ার বাণিজ্য অংশীদারদের—যাদের বড় অংশই ব্রিকস সদস্য। তাদের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

বুধবার ট্রাম্প বলেন, তিনি চীনের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক বসাতে পারেন, কারণ চীন বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা।

অন্যদিকে বেইজিং ও নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর মুখেও তারা তাদের সার্বভৌম স্বার্থ রক্ষা করবে।

সর্বশেষ সংবাদ

রেকর্ড পরিমাণে কমলো জাপানের জনসংখ্যা

জাপানে জনসংখ্যা হ্রাসের হার আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ২০২৪ সালে দেশটির জনসংখ্যা কমেছে ৯ লাখ ৮ হাজার ৫৭৪...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ