ভারতীয় টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক শুবমান গিলকে ভিরাট কোহলি হতে নিষেধ করেছেন স্বদেশী সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। কারণ মাঠের আগ্রাসী মনোভাব কোহলিকে তাতিয়ে তুললেও গিলের ক্ষেত্রে দৃশ্যপট ভিন্ন। মেজাজ হারানোর প্রভাব পড়েছে গিলের ব্যাটিংয়ে। তাইতো মানসিক চাপে পড়ে গিল খেই হারিয়েছিলেন বলে জানান এই ভারতীয় সাবেক।
অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন শুবমান গিল। প্রথম দুই টেস্টে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৮৫ রান। তবে তৃতীয় টেস্টে মুদ্রার উলটো পিঠ দেখেছেন এই ভারতীয় অধিনায়ক। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোটে করেছেন ২২ রান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই দেখা গেছে গিলের আগ্রাসী নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে আচরণেও মাঝেমধ্যে আগ্রাসী হয়েছেন। বাক যুদ্ধে জড়িয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটারদের সাথে।
এর দৃশ্যমান প্রভাব পড়েছে গিলের ব্যাটিংয়েও। তাইতো গিলকে ভিরাট কোহলি না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঝামেলা হলে বা কেউ স্লেজিং করলে ব্যাট হাতে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতেন কোহলি। গিলের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা।
সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেন, কোহলির সঙ্গে প্রতিপক্ষের ঝামেলা হলে সেটা তার রানের ক্ষুধা আরও বাড়িয়ে দিতো। কোহলি আরও ভালো ব্যাটিং করতো। শুভমানের ক্ষেত্রে সেটাই সবচেয়ে হতাশাজনক লেগেছে। সে কোন পথে হাঁটছে সেটাই ভাবছি। ব্যাটার শুবমানকে আগের মতো স্বাভাবিক দেখতে পাচ্ছিনা। ব্যাট করতে নামার সময় বেশ অস্থির লাগছিল।
তিনি আরও বলেন, এই সিরিজে গিল যেভাবে দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণে ব্যাট করছিল, হঠাৎ করেই সেটা হারিয়ে গেল। ৯ বলের মধ্যে ৪ বার মিস করল, একটা রিভিউর পরিস্থিতিও এল, আর পরের বলেই আউট। গিলের ডিফেন্স ভাঙা এত সহজ নয়। তাই আমি নিশ্চিত মানসিক চাপের প্রভাব পড়েছে।
বিদেশে তুলনামূলক বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশেই স্বাগত জানানো হয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের। তাই এ ধরনের কটূক্তি গিলের জন্য ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের মতে মানসিক চাপে খেই হারিয়েছেন এই ওপেনার।
উল্লেখ্য, টেন্ডুলকার-এন্ডারসন ট্রফির পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। আগামী ২৩ জুলাই ম্যানচেস্টারে শুরু হবে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট।