পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির স্বাক্ষরকারী জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা সব কথা শুনেছি, কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে তা জেনেছি। কিছু সমস্যা ছোট, যেগুলো আলোচনা করে সমাধান করা সম্ভব। তবে যেসব সমস্যা বড়, সেগুলো আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউসে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা সভার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির স্বাক্ষরকারী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, উপসচিব মোংগল চন্দ্র পাল, উপসচিব মো. শামসুল হক এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা বলেন, বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম, আলোচনা শুনেছি এবং অংশগ্রহণও করেছি। তবে এখন এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউসের একটি কাচের ঘরে ঘণ্টাব্যাপী চলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পর্যালোচনা সভার রুদ্ধদ্বার বৈঠক।