spot_img

ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

অবশ্যই পরুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাবেন। মস্কোর আগ্রাসন বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

রোববার (১৩ জুলাই) মেরিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজ-এ সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তাদের প্যাট্রিয়ট পাঠাবো, যা তারা মরিয়া হয়ে চাইছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুতিন অনেককে চমকে দিয়েছে। সে সুন্দরভাবে কথা বলে, আর রাতে গিয়ে সবাইকে বোমা মারে। এতে একটা সমস্যা হচ্ছে। আমি এটা পছন্দ করি না।’

ট্রাম্প জানিয়েছেন, কতটি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম ইউক্রেনকে দেওয়া হবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি, তবে
‘তারা কিছু পাবে, কারণ তাদের সুরক্ষা দরকার।’

এ মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়, যখন ট্রাম্প সম্প্রতি নিশ্চিত করেছেন, তার প্রশাসন ইউরোপের ন্যাটো মিত্রদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করবে, যাতে তারা সেগুলো কিয়েভে পাঠাতে পারে।

ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

রুটের ওয়াশিংটন সফরের মধ্যেই ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি সোমবার রাশিয়া নিয়ে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা’ দেবেন।

রোববার অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে দুটি অনামিকা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের ওই ঘোষণায় ইউক্রেনের জন্য ‘আক্রমণাত্মক অস্ত্র’ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারে নামা ট্রাম্প, পুতিনের শান্তিচুক্তি মেনে না চলায় ক্রমশ হতাশা প্রকাশ করছেন।

যদিও পুতিন কখনো কখনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের নির্বর্তিত যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন। রাশিয়ার দাবি, এতে কিয়েভ নতুন করে সংগঠিত হয়ে সজ্জিত হওয়ার সুযোগ পাবে।

মঙ্গলবার ট্রাম্প পুতিনকে নিয়ে তার সবচেয়ে তীব্র মন্তব্যগুলোর একটি করেন। ‘সে সবসময় খুব ভালোভাবে কথা বলে, কিন্তু তার কথার কোনো মানে নেই,’ বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘সে যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক বাজে কথা বলেছে।’

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর, ট্রাম্প কিয়েভে সহায়তা কমিয়ে দেন, এই বলে যে এটি আমেরিকান করদাতাদের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে শান্তির পথে বাধা বলে অভিহিত করেন।

যদিও ইউক্রেন আগের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে অনুমোদিত বাজেট থেকেই অস্ত্র পেয়ে যাচ্ছে, ট্রাম্প নতুন করে অস্ত্র অনুমোদনে গড়িমসি করছিলেন।

তবে গত ৭ জুলাই ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি ইউক্রেনের জন্য ‘প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র’ পাঠাতে শুরু করবেন।

রোববার (১৪ জুলাই) ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসছে কি না। তিনি উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি খুবই হতাশ। আমি ভেবেছিলাম সে যা বলে, তা মানে করে। কিন্তু সে সুন্দরভাবে কথা বলে আর রাতে মানুষ বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়। এটা আমরা পছন্দ করি না।’

সূত্র: আলজাজিরা

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফের আলোচনা হবে, যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণের আশা বাণিজ্য উপদেষ্টার

শুল্ক ইস্যুতে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সোমবার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ