spot_img

স্বপ্নে নিজের মৃত্যু দেখলে কি হয়? করণীয় কী?

অবশ্যই পরুন

ঘুম মহান আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ নেয়ামতগুলোর মধ্যে একটি। এর মধ্যদিয়ে দিনের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী। রাত্রিকে করেছি আবরণ’ (সুরা নাবা, আয়াত: ৯-১০)।

ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষ স্বপ্নে অবচেতনভাবে নানা কাল্পনিক ঘটনা অনুভব করে থাকে। এই হিসেবে স্বপ্নকে দুইভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। একটি হলো الرُّؤْيَا (আর-রুউয়া) বা ভালো স্বপ্ন এবং অপরটি الْحُلْمُ (আল-হুলমু) বা দুঃস্বপ্ন।

এ ক্ষেত্রে অনেক সময় স্বপ্নে মানুষ নিজের বা পরিচিত কারও মৃত্যু দেখে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন শোনা যায় যে, স্বপ্নে নিজের মৃত্যু দেখা মানে কাছের কেউ মারা যাবে। আসলেই কি তাই? এমন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী?

হাদিসে এসেছে- ভালো স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে, আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে আসে (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৫১৫, ৬৫৩৩)। তবে রাসুল (সা.) দুঃস্বপ্ন বা খারাপ স্বপ্ন দেখলে উম্মতদের মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলেছেন।

আবার কোনো কোনো হাদিসে খারাপ স্বপ্ন দেখলে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার পাশাপাশি বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলার কথাও এসেছে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৫৩)

অন্যদিকে স্বপ্নে নিজের মৃত্যু দেখা নিয়ে ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহর মত, স্বপ্নে নিজের মৃত্যু দেখলেই যে কেউ মারা যাবে বিষয়টি এমন নয়। হতে পারে স্বপ্নে কেউ নিজের মৃত্যু দেখলো, অথচ বাস্তবে তার হায়াত (আয়ু) বাড়বে। এ কারণে যারা স্বপ্নের ব্যাখ্যা ভালো বুঝেন, এমন কারও কাছেই একমাত্র স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া উচিত।

তবে যে স্বপ্ন দেখার পর নিজের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করে, এমন মনে হয় যে স্বপ্নে খারাপ কিছুর ইঙ্গিত পেয়েছেন- এমন স্বপ্ন কাউকে বলা উচিত নয়। এমন হলে বেশি বেশি ইস্তিগফারের পাশাপাশি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে পানাহ চাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে সম্ভব হলে তৎক্ষণাৎ বাম পাশে তিনবার থুথু ফেলার পাশাপাশি দুই রাকাত সালাত আদায় করা যেতে পারে বলেও মত শায়খ আহমাদুল্লাহর।

মনে রাখতে হবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শয়তান মানুষকে নাজেহাল করতে খারাপ স্বপ্ন দেখায়। অযথাই ভয়ংকর কিছু মানুষকে দেখিয়ে পেরেশানিতে রাখার জন্য। তবে কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে সেটি আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি বা স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানেন এমন কাউকে ছাড়া অন্যদের বলার ক্ষেত্রে নিষেধ রয়েছে।

আবু সালামা (রহ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, আমি আবূ কাতাদা (রা.) কে বলতে শুনেছি, আমি এমন স্বপ্ন দেখতাম যা আমাকে রোগাক্রান্ত করে ফেলত। অবশেষে আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি- ভালো স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। তাই যখন কেউ পছন্দনীয় কোনো স্বপ্ন দেখে তখন এমন ব্যক্তির কাছেই বলবে, যাকে সে পছন্দ করে। আর যখন অপছন্দনীয় কোনো স্বপ্ন দেখে, তখন যেন সে এর ক্ষতি ও শয়তানের ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায় এবং তিনবার থু থু ফেলে আর সে যেন তা কারও কাছে বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৫৬৮)

সর্বশেষ সংবাদ

ইরানি মিসাইল হামলায় বিধ্বস্ত মার্কিন ঘাঁটির স্যাটেলাইট চিত্র ফাঁস

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদ-এ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ