spot_img

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের ‘ইতিবাচক জবাব’

অবশ্যই পরুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে ইতিবাচক জবাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধানতাকামী গোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার (৪ জুলাই) হামাস জানিয়েছে, মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে তারা ‘ইতিবাচক জবাব’ দিয়েছে। এবং চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত, যেখানে জিম্মিদের মুক্তি এবং সংঘাতের অবসানের জন্য আলোচনার কথা বলা হয়েছে।

আজ শনিবার (৫ জুলাই) বিবিসিরয়টার্সআল-জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বিষয়টি জানিয়েছে।

এক হামাস কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কাতার ও মিশরকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আমাদের জবাব দিয়ে দিয়েছি। হামাসের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। আমি মনে করি বিষয়টি চুক্তি অর্জনে সাহায্য করবে।’

এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ‘গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সর্বশেষ প্রস্তাব সম্পর্কে হামাস নিজেদের মধ্যে পরামর্শ এবং ফিলিস্তিনি অন্যান্য দলের সাথে আলোচনা সম্পন্ন করেছে।’

নিজেদের ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে হামাস আরও জানায়, ভ্রাতৃপ্রতিম মধ্যস্থতাকারীদেরকে যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে হামাস তাদের ইতিবাচক জবাব দিয়েছে। এই কাঠামোর আলোকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনার জন্য হামাস সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ৬০ দিনের একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইসরাইল এরইমধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে নিয়েছে। এই সময়ে যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের প্রচেষ্টা চলবে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে জোর আলোচনার মধ্যেই গাজাজুড়ে এখনও অব্যাহত ইসরাইলি বর্বরতা। শুক্রবার গাজা সিটির আল-সাবরা গার্লস স্কুল ও আল-হুররিয়া স্কুলে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেছে কয়েকজনের। খান ইউনিস, জাবালিয়াতেও প্রাণ গেছে অনেকের। রাফায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আইসিআরসি ফিল্ড হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী। রেড ক্রস বলছে, এ ধরনের ঘটনা গাজার প্রতিদিনের বাস্তবতা।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ৮৫ শতাংশ এলাকাকে সামরিক অঞ্চল ঘোষণা করেছে ইসরাইল। শুধু মার্চের পরই নতুন করে গৃহহীন হয়েছেন ৭ লাখ ১৪ হাজার মানুষ। চার মাস ধরে একফোটা জ্বালানিও প্রবেশ করেনি গাজায়। কার্যত ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নাসের হাসপাতাল এখন এক বিশাল ট্রমা ওয়ার্ডে রূপ নিয়েছে। ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রেও মিলছে না নিরাপত্তা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর জানায়, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত ত্রাণকেন্দ্র ও কনভয়ের আশপাশে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৬১৩। তাদের বেশিরভাগই শিশু ও তরুণ।

সর্বশেষ সংবাদ

ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে জেলেনস্কি- ট্রাম্পের ফোনালাপ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার ক্রমাগত হামলার মধ্যেই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং যৌথ...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ