বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁপে ও কলা উভয়ই পুষ্টিকর হলেও ওজন কমানোর দিক থেকে তাদের ভূমিকা কিছুটা আলাদা।
পেঁপে: হজমে সহায়ক ও মেদ ঝরাতে কার্যকর
পেঁপেতে থাকা প্রাকৃতিক এনজাইম প্যাপেইন হজমক্ষমতা উন্নত করে এবং বিপাকক্রিয়া বাড়ায়। এতে ফাইবার বেশি ও ক্যালোরি কম থাকায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমায়। পেঁপের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পেটের ফোলাভাব কমাতেও সহায়ক, যা বিশেষভাবে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
কলা: শক্তি জোগায় ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে
অন্যদিকে কলা তুলনামূলকভাবে বেশি ক্যালোরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফাইবার ও প্রাকৃতিক চিনি, যা শরীরে দ্রুত শক্তি দেয় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সবুজ কলায় থাকা ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া কলার পটাশিয়াম পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বের করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, দু’টি ফলই খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে—সকালে খালি পেটে এক বাটি পেঁপে এবং ওয়ার্কআউটের আগে একটি কলা খেলে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও দই ও মধু দিয়ে পেঁপে-কলার স্মুদি একটি চমৎকার বিকল্প।
কোন ফলে কেমন পুষ্টি:
১০০ গ্রাম পেঁপে:
ক্যালোরি: ৪৩, ফ্যাট: ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন: ১.৭ গ্রাম, ফাইবার: ১.৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট: ১১ গ্রাম
ভিটামিন: এ, সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
ক্যালোরি: ৮৯, ফ্যাট: ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন: ১.১ গ্রাম, ফাইবার: ২.৬ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট: ২৩ গ্রাম
খনিজ: পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬
সতর্কতা:
ডায়েটে নতুন কিছু যোগ করার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা বা অন্য স্বাস্থ্যজটিলতা থাকলে।
ওজন কমাতে চাইলে পেঁপে ও কলা—দুই ফলই নিয়ম মেনে খাওয়া যেতে পারে। পেঁপে পেটের মেদ কমাতে সহায়ক, আর কলা শক্তি জোগাতে দারুণ। সঠিক ভারসাম্যই হতে পারে ওজন নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি।