অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে শনিবার। তার আগে মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় শেফালির। হাসপাতাল থেকে শেফালির মরদেহ শশ্মানে নিয়ে যাওয়ার পথে অভিনেত্রীর পরিবারের সঙ্গে ছিলেন পাপারাৎজি। এমনকী শ্মশানে পৌঁছে শেফালির মরদেহের সামনে যখন পরিবারের সদস্যরা প্রার্থনায় বসেছিলেন, সেই মুহূর্তের ছবি, ভিডিও ফ্রেমবন্দি করেছিলেন পাপারাৎজিরা। শেফালির স্বামী পরাগ ত্যাগী বেশ কয়েকবার হাতজোড় অনুরোধও করেন, এই সময়টাতে তাদের একটু একা থাকতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু পাপারাতজিরা তাদের ‘কভারেজ’ থামাননি। এবার পাপারাৎজি এই আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান। পাপারাৎজিরা ‘অমানবিক’ বললেন তিনি।
শেফালির মৃত্যুর ঘটনায় রোববার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পাপারাৎজিদের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বরুণ।
অভিনেতা লেখেন, ‘আবার এক মৃত্যুর ঘটনায় অত্যন্ত অমানবিক ভূমিকা পালন করল মিডিয়া। আমি বুঝতেই পারছি না কীভাবে কারও ব্যক্তিগত শোক খবরের বিষয় হতে পারে! যারা এটা করেন, তাদের কি বিশেষ কোনও লাভ হয়?’
এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি বরুণ মিডিয়ার বন্ধুদের উদ্দেশে অনুরোধও রেখেছেন। বরুণ লিখেছেন, ‘কারও অন্তিম যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত এভাবে ক্যামেরাবন্দি না করার অনুরোধ রাখছি আমার মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে।’
সন্তান শোকের সঙ্গে কোনও কিছুই তুলনীয় নয়। মেয়েকে হারিয়ে শেফালির মায়ের বুকফাঁটা কান্না সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
অন্যদিকে, শেফালির স্বামী পরাগ ত্যাগীর উপর সর্বক্ষণ লেন্সের নজরদারি ছিল। স্ত্রীর মৃত্যুশোকে পরাগের আলাদা করে শোকপালনের বিন্দুমাত্র সুযোগ ছিল না। তবে একটা সময় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে পরাগেরও। পাপারাৎজিদের উদ্দেশে হাত জোড় পরাগ বলেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করছি দয়া করে কেউ আমার স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে নাটকীয় কোনও খবর করবেন না। আপনার আমার পরীর (শেফালি) আত্মার শান্তি কামনা করুন। ও যেন ভালো থাকে, শান্তিতে থাকে।’