জাম শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং এর অসাধারণ ওষুধিগুণের জন্যও বিখ্যাত। বিশেষ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের বীজকে অন্যতম কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে রয়েছে ‘জ্যাম্বোলিন’ ও ‘জ্যাম্বোসিন’ নামক দুইটি উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে ও ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে।
জামের বীজের উপকারিতা
১ হজমে সহায়তা
জামের বীজ হজম শক্তি উন্নত করে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সঠিক বাওয়েল মুভমেন্ট নিশ্চিত করে।
২ দেহে ডিটক্স প্রক্রিয়া
এই বীজে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩ রক্তে চিনি কমায়
জামের বীজে থাকা অ্যালকালয়েড স্টার্চকে চিনি হওয়া থেকে বাধা দেয়, ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪ রক্ত পরিশোধন ও রক্তশূন্যতা নিরাময়
জামের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ (আইরন), যা রক্তকে বিশুদ্ধ করে এবং অ্যানিমিয়ার জন্য উপকারী। বিশেষ করে যাদের হিমোগ্লোবিন কম, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।
৫ রক্তচাপ কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত জামের বীজের নির্যাস পান করলে রক্তচাপ ৩৪.৬% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
* জাম ধুয়ে বীজ আলাদা করে নিন
* পরিষ্কার কাপড়ে বীজগুলি ৩-৪ দিন রোদে শুকান
* বাইরের খোসা ছাড়িয়ে ভিতরের সবুজ অংশ সংগ্রহ করুন
* আবার কিছুদিন রোদে শুকান
* এরপর ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে বায়ুরোধী কন্টেইনারে সংরক্ষণ করুন
সেবন পদ্ধতি
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ জামের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শরীরও থাকবে সুস্থ ও সক্রিয়।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া