একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে ইসরায়েল। সেই সাথে বেজেই চলেছে টানা সাইরেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে প্রচুর সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে।
বিশেষ করে আসদোদ, লাচিস এবং পশ্চিম জেরুজালেমের আশপাশে একাধিক এলাকায়। যার ফলে সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলার সতর্কতা হিসেবে সাইরেন বেজে উঠেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, জেরুজালেমে সাইরেন বাজার সঙ্গে সঙ্গেই নেসেটের (ইসরায়েলি সংসদ) সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
এদিকে সাংবাদিকদের জন্য সোমবার (২৩ জুন) ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে রিপোর্টিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে অনেক সংবাদকর্মী পাশের দেশ জর্ডান থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
তবে ক্ষয়ক্ষতির নির্ভরযোগ্য তথ্য এখনো জানা যায়নি। কারণ, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ভিডিও ও তথ্য প্রকাশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
তবে জানা গেছে, গত ১০ দিনের ইরানি হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্ট্রাল ইসরায়েল। হামলার শিকার হয়েছে হাইফার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরও।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গতকাল ইরান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে একটি হামলা চালায়, যেখানে কোনো সতর্কতামূলক সাইরেন বাজেনি। পরে ইসরায়েল নিশ্চিত করে এটি ইরানের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, ভুল করে ছোড়া নিজস্ব প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র নয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে, যার ফলে দেশটির পরমাণু স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু বিজ্ঞানী, সামরিক কর্মকর্তা এবং সাধারণ বেসামরিক নাগরিক।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামে পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে। ১৩ জুনের পর থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত অন্তত ২১ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানি বাহিনী। এসব হামলা মূলত ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল এবং সেখানে অবস্থিত কৌশলগত সামরিক ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে।
সূত্র- টাইমস অব ইসরায়েল