আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে করা রানকে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দামি রানের আখ্যা দিয়েছে এইডেন মার্করাম। তার ১৩৬ রানের অতিমানবীয় ইনিংস ২৭ বছরের শিরোপা জয়ের আক্ষেপ ঘুচিয়েছে প্রোটিয়াদের।
টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি যে কোন ফরম্যাটেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি বলাই যায়। কিন্তু সেই ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি নকআউট ট্রফি ছাড়া কোন বৈশ্বিক ট্রফি ছিল না তাদের। মিনি বিশ্বকাপ জয়ের পর বৈশ্বিক আসরে ১১টি সেমিফাইনালের পাশাপাশি একটি ফাইনালও খেলেছে বাভুমার দল। কিন্তু দেখা পায়নি শিরোপা নামক সেই সোনার হরিণের।
অবশেষে ২৭ বছর পর প্রোটিয়াদের মাথায় বিশ্বসেরার মুকুট। ক্রিকেটের তীর্থ ভূমি লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক মেইস বা গদা তুলে ধরলেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এই জয়ের নায়ক এইডেন মার্করাম। লর্ডসে ইতিহাসগড়া ফাইনালে ২৮২ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে খেলেছেন ১৩৬ রানের অবিস্মরণীয় এক ইনিংস।
মার্করাম বলেন, কখনও এর চেয়ে দামি রান করিনি। বিষয়টা একটু অদ্ভুত, প্রথম ইনিংসে ডাক মেরে ফেরার পর সবকিছু কীভাবে ঠিকঠাক হলো। কিছুটা ভাগ্যও দরকার হয়। লর্ডস এমন জায়গা, যেখানে সবাই খেলতে চায়। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক সমর্থক এসেছেন, এটা অন্যতম বিশেষ একটা দিন তাদের জন্যও।
তিনি আরও বলেন, সবাই প্রার্থনা করছিলাম। আমরা ভাগ্যবান যে কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছি। ড্রেসিংরুমে সবাই অনেক নার্ভাস ছিল। অনেকে চুপ করে বসেছিল, কিন্তু আমাদের দর্শকেরা প্রতিটি রানের জন্য চিৎকার করেছেন, এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই।
বড় মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার চাপে ভেঙে পড়ার অনেক অতীত ইতিহাস রয়েছে। ২৮২ রান তাড়া করতে নেমে ৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা, ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট। সে সময়ও অনেকেই মনে করছিলেন এই বুঝি ভেঙে পড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ। কিন্তু মার্করাম-বাভুমা মিলে যা করেছেন অনেক প্রোটিয়া কিংবদন্তি তা করতে পারেননি।
প্রোটিয়াদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দিয়েছে মার্করামের ইতিবাচকতা, আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ব নিয়ে খেলার দৃঢ়তা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দায় যেন মার্করাম শুধলেন লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে।