spot_img

পাঞ্জাবকে ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতলো ব্যাঙ্গালুরু

অবশ্যই পরুন

ইন্ডিয়ার প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ব্যাঙ্গালুরুর দেয়া ১৯১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮৪ রানে শেষ হয় পাঞ্জাবের ইনিংস।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল।

১৯১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চার মেরে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দেন পাঞ্জাব ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য। ওভারের শেষ বলে ছক্কা মারেন আরেক ওপেনার প্রভসিমরান সিং। এরপর দ্বিতীয় ওভারে দুই চারে আসে ১০ রান। এরপর খানিকটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার। তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে আসে যথাক্রমে ৫ ও ৪ রান। পঞ্চম ওভারে পর পর দুই চার মেরে ঝড়ের ইঙ্গিত দিলেও শেষ বলে ব্যক্তিগত ২৪ রানে সাজঘরের পথ ধরেন প্রিয়াংশ। পাঁচ ওভারে পাঞ্জাবের সংগ্রহ দাড়ায় এক উইকেটে ৪৩ রান।

এরপর প্রভসিমরানকে সাথে নিয়ে পাঞ্জাবের রানের চাকা সচল রাখেন জশ ইংলিস। নবম ওভারে ক্রুনালের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রভসিমরান। এর পরের ওভারে একই পথ ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার। মাত্র ১ রান করে শেফার্ডের বলে কাটা পড়েন তিনি। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন ইংলিস। ১৩ তম ওভারে ক্রুনালের বলে আউট হওয়ার আগে চারটি চার ও একটি ছক্কার মারে ২৩ বলে ৩৯ রান নেন তিনি। ইংলিসের বিদায়ে খানিকটা চাপে পড়ে পাঞ্জাব।

ক্রিজে তখন শশাঙ্ক সিং ও নেহাল ওয়াধেরা। এরপর দুই ওভার দেখেশুনে খেললেও পনেরোতম ওভারে গিয়ে হাত খুলে ব্যাট করতে থাকেন দুই ব্যাটার। যোলোতম ওভারে ভুবনেশ্বরের বলে আউট হন নেহাল। এরপর প্রথম বলে ছক্কা মেরে দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন মার্কাস স্টয়নিস। শেষ ১৮ বলে পাঞ্জাবের তখন ৪৭ রান দরকার। ১৮ তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয় আউট হন। সেই ওভারে আসে মাত্র ৫ রান।

জিততে হলে শেষ ১২ বলে পাঞ্জাবের তখন ৪২ রান প্রয়োজন । পরের গল্পটা শুধু শশাঙ্ক সিংয়ের। শেষ দুই ওভারে চারটি ছক্কা ও দুইটি চারের মারে ৩৫ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন। তবে তার ব্যাটিং শুধু পাঞ্জাব ভক্তদের আফসোস বাড়িয়েছে। ম্যাচটি ছয় রানে হারে পাঞ্জাব কিংস। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান নেন শশাঙ্ক।

এর আগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খানিকটা ঝড়ো গতিতে ব্যাট করতে থাকে বেঙ্গালুরু। ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফিল সল্ট সাজঘরে ফেরেন। এরপর একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালাতে থাকেন বিরাট কোহলি। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বেঙ্গালুরু। তবে ইনিং বড় করতে না পারলেও ছোট ছোট ক্যামিওতে ১৯০ রানের বড় সংগ্রহ পায় দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ বলে ৪৩ রান নেন কোহলি। এছাড়া, রজত পাতিদার ২৬, লিভিংস্টোন ২৫, মায়াঙ্ক আগরওয়াল ২৪, জিতেশ শর্মা ২৪ ও রোমারিও শেফার্ড ১৭ রান নেন।

সর্বশেষ সংবাদ

মাস্ক চাইলে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক যদি কখনও যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে রাশিয়ায় এসে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ