সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান আপিলের মাধ্যমে খালাস পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ তারিক এজাজের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। শফিক রেহমান আদালতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে মামলার দায়েরের সময় পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি এবং এর জোটভুক্ত দলের কিছু নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
এই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
এরপর ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমান ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন। আদালত শুনানি শেষে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার এবং সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেন।
চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল শফিক রেহমানের আপিলের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ২৭ মে দিন ধার্য করেন। আজ ঘোষিত রায়ে তাকে খালাস দেওয়া হয়, ফলে সাংবাদিক শফিক রেহমান এই মামলায় সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হলেন।