পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, পাকিস্তানে সক্রিয় দুটি বড় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী— তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) ভারতের মদদপুষ্ট এবং তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে। তিনি জানান, বেলুচিস্তানের খুজদারে একটি স্কুলবাসে হামলায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার ‘সম্পূর্ণ প্রমাণ’ উপস্থাপন করবে ইসলামাবাদ। খবর ডনের।
খুজদারের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার আর্মি পাবলিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেওয়ার সময় কোয়েটা-করাচি মহাসড়কের জিরো পয়েন্টে একটি বোমা হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু ছিল। আহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি, যাদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন ছাত্রী রয়েছেন। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির আহতদের দেখতে গেছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনী এই হামলার দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বুধবার (২১ মে) রাতে জিও নিউজের এক অনুষ্ঠানে খাজা আসিফ বলেন, ‘বিএলএ ভারতীয় প্রক্সি হিসেবে কাজ করছে, এ বিষয়ে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমরা ভারতের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেশ করব এবং যা বলেছি তা নিশ্চিত করব।’
তিনি জানান, ‘বিএলএ’র নেতৃত্ব দিল্লিতে অবস্থান করছে, এবং তারা সরাসরি ভারতের অর্থায়নে রক্তপাত চালাচ্ছে। তাদের ধর্ম বা জাতীয়তাবাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।”
কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি হওয়া হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয় এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভারত পাকিস্তানকে দোষারোপ করে। অথচ পাকিস্তান সেই ঘটনার তদন্ত চেয়েছিল, যা ভারত প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলশিশুদের মতো নিরীহ নাগরিকদের ওপর হামলা মেনে নেওয়া যায় না। পাকিস্তান পুরো শক্তি দিয়ে এর জবাব দেবে, কোনো ধরনের সহানুভূতি দেখানো হবে না।’
পারমাণবিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে খাজা আসিফ বলেন, ‘পাকিস্তান কখনো পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করবে না, কিন্তু আমাদের ওপর হামলা হলে আমরা চুপ থাকব না। ভারত মিথ্যা অজুহাতে আমাদের ঘাঁটিতে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়েছে, তবুও আমরা সংযম দেখিয়েছি।’