spot_img

পাকিস্তানকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে চীনের নতুন বার্তা

অবশ্যই পরুন

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের পর বেইজিং সফরকারী উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে চীন তার ‘লোহিত ভাই’ আখ্যা দিয়ে ইসলামাবাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে।

চারদিন ধরে চলা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দারের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী উষ্ণতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সফরকালে দার জানান, যুদ্ধবিরতির পর প্রথম বিদেশ সফরের জন্য বেইজিংকে বেছে নেওয়া তার পক্ষ থেকে এক ধরনের বার্তা, যাতে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং আত্মরক্ষার অধিকার রক্ষায় চীনের নিরবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

তিনি বলেন, পাকিস্তান চীনের মৌলিক স্বার্থে সবসময় পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। দুই দেশের নেতৃত্ব যেভাবে সম্পর্ককে ‘অল ওয়েদার স্ট্র্যাটেজিক কো-অপারেটিভ পার্টনারশিপ’-এ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা বাস্তবায়নে পাকিস্তান অঙ্গীকারবদ্ধ।

কাশ্মীর সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী সমস্যাটির নিষ্পত্তিকে তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যাবশ্যক বলে উল্লেখ করেন।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, পাকিস্তান চীনের অকৃত্রিম বন্ধু এবং সর্বকালীন কৌশলগত অংশীদার। তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের অবস্থানের প্রশংসা করেন। চীন ভবিষ্যতেও পাকিস্তানের পাশে থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

দুই নেতা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, শিল্পায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেন। তারা চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি)-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তৃতীয় পক্ষের অংশগ্রহণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যৌথভাবে লাভবান হওয়ার ইঙ্গিত দেন।

আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় দুই পক্ষ নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে বহুপাক্ষিক মঞ্চেও তাদের অভিন্ন লক্ষ্য পূরণে একযোগে কাজ করা যায়।

সূত্র: জিও নিউজ

সর্বশেষ সংবাদ

মিশন ইম্পসিবলই কি টম ক্রুজের শেষ সিনেমা!

‘মিশন ইম্পসিবল’, হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজের আইকনিক সিনেমা। এ ফ্রাঞ্চাইজির সাতটি সিনেমা এ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মুক্তির...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ