নারী সংস্কার কমিশনের দেয়া প্রতিবেদনের কয়েকটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশ ২৬ মে। সোমবার (১৯ মে) বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৪ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখার এ রিট দায়ের করেন। রিটে কমিশনের সুপারিশ করা বিতর্কিত ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ এবং ১২ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী রওশন আলি জানান, নারী সংস্কার কমিশন প্রতিবেদনের অন্তর্ভুক্ত এসব সুপারিশগুলো ইসলামী শরিয়তের বিধানের পরিপন্থি, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থি এবং বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রিট আবেদনে সুপারিশগুলো কেন বেআইনিভাবে প্রণীত এবং আইনগত কার্যকারিতা বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে তিনটি মন্ত্রণালয় এবং নারী সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়। এতে বলা হয়, এ রিট কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। এটি দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ, সংবিধানিক ভারসাম্য এবং সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গ্রহণ করা একটি আইনগত পদক্ষেপ।