উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আজ মঙ্গলবার (৬ মে) রাত ১টায় ইন্টার মিলানের আতিথ্য নেবে বার্সেলোনা। প্রথম লেগের লড়াই ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ায় কোন দলই পাবে না বাড়তি সুবিধা। তবে ঘরের মাঠের সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় বারের মতো ফাইনালে ওঠার কির্তি গড়তে চায় ইন্টার। অন্যদিকে, পুরো মৌসুম জুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা বার্সেলোনা জয় পেলে খেলবে ষষ্ঠ ফাইনাল।
২০১০ সালে নিজেদের সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শিরোপা জিতেছিল ইন্টার মিলান। হোসে মরিনিয়োর অধিনে সেই ক্যাম্পেইনেও সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে হারিয়েছিলো ইন্টার।
এবারও নিশ্চিত ভাবে বার্সাকে হারিয়ে ১৫ বছরের শিরোপা ক্ষরা কাটাতে চায় ইন্টার মিলান। প্রথম লেগে বার্সার মাঠে তিন গোল দেয়া ইন্টার এই ম্যাচে বড় ধাক্কা খাচ্ছে অধিনায়ক ও দলের টপ স্কোরার লাউথারো মার্টিনেজের ইনজুরিতে। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে এই আর্জেন্টাইকে বসতে হবে মাঠের বাইরে। আক্রমনে তাই থুরামের পাশাপাশি মেহেদী তারেমি অথবা মার্কো আরনাউটোভিচের মধ্যে যে কোন এক জনকে দেখা যাবে।
এদিকে, ফরাসি ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন পাভার খেলা নিয়েও আছে শঙ্কা। তবে ইন্টারকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিবে বার্সার অতিতের দুর্বল পরিসংখ্যান। ইন্টারের মাঠে ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি ম্যাচ জিতেছে কাতালান ক্লাবটি।
ইন্টার মিলানের কোচ সিমোন ইনজাগি বলেন, বার্সেলোনা এই মৌসুমে ইতিমধ্যেই দুটি শিরোপা জিতেছে, আরও দুটো জয়ের সুযোগ আছে। এটাই প্রমান করে তারা কতটা ভালো দল। তবে আমরাও সেরাটা দিতে প্রস্তুত। কেবল ৯০ নয়, ১২০ মিনিট খেলার প্রস্তুতি নিতে হবে। পেনাল্টির ভাবনাও থাকতে হবে।
অন্যদিকে, অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও ফেভারিট হিসেবে এই ম্যাচে মাঠে নামছে বার্সেলোনা। দলটির জন্য সুখবরও আছে। ইনজুরি কাটিয়ে ফিট হয়েছেন মৌসুমে বার্সার টপ স্কোরার লেভানডোভস্কি। তবে কোচ হ্যান্সি ফ্লিক নিশ্চিত করেছেন লেভানডোভস্কি থাকবেন না শুরুর একাদশে। ফেরান তোরেস থাকবেন বার্সেলোনার নাম্বার নাইনের দায়িত্বে। তবে চোট কাটিয়ে ফিরলেও নিয়মিত গোলরক্ষক টের স্টেগেনের পরিবর্তে ইনফর্ম সেজনিকে গোলবারের দায়িত্ব দেবেন হ্যান্সি ফ্লিক।
বার্সেলোনার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক বলেন, ‘আমরা সেরাটা দিতে মাঠে নামবো। দলের প্রতি পূর্ন আস্থা আছে আমার। লেভানডোভস্কি ফিট হয়েছে, তবে বেঞ্চে থাকবে। প্রয়োজন হলে বদলি হিসেবে মাঠে নামবে।’