‘মেক আমেরিকা’স শাওয়ারস গ্রেট অ্যাগেইন’ স্লোগান নিয়ে হাজির হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবস্থান নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘পানি সংরক্ষণ নীতি’র বিরুদ্ধে। কল থেকে টিপটিপ করে পানি পড়া বন্ধ করা এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মিশন। যুক্তরাষ্ট্রে কম প্রবাহযুক্ত শাওয়ারহেড (জল-সাশ্রয়ী ঝরনা) বাধ্যতামূলক করার বর্তমান নিয়ম বাতিল করতে স্থানীয় সময় বুধবার (৯ এপ্রিল) ব্যতিক্রমী এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন তিনি।
নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে গোসলের সময় পানির চাপের যে সীমা বেধে দেয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
ট্রাম্পের দাবি, বর্তমান পানি-সাশ্রয়ী নিয়মগুলোর কারণে শাওয়ারহেডে পর্যাপ্ত জলচাপ না থাকায় মানুষকে দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করতে হয়, যা আসলে পানি সাশ্রয় করে না।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি পানির চাপ ভালোভাবে পান, তাহলে তিন মিনিটেই গোসল শেষ করতে পারবেন। কিন্তু এখন মানুষ ২০-৩০ মিনিট ধরে পানি নষ্ট করে। কারণ তাদের শাওয়ারে ঠিকমতো পানি পড়ে না!’
তবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে, যারা মনে করেন এটি পানির সংকটকে আরও বাড়িয়ে দেবে। তবে ট্রাম্পের সমর্থকরা এটিকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং সরকারি হস্তক্ষেপ কমানোর একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
এই প্রস্তাব ট্রাম্পের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারের অংশ হতে পারে, যেখানে তিনি নিয়ন্ত্রণ হ্রাস এবং ঐতিহ্যবাহী আমেরিকান জীবনযাত্রাকে প্রাধান্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এনার্জি ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন শাওয়ারহেডসহ পানিব্যবহারকারী যন্ত্রপাতির ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার।
এই নিয়মটি প্রথম চালু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। পরে বাইডেন প্রশাসন তা পুনর্বহাল করেন; যেখানে শাওয়ারহেডের পানির প্রবাহ প্রতি মিনিটে ২.৫ গ্যালন (৯.৫ লিটার) সীমাবদ্ধ ছিল।
ওভাল অফিসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভালো করে গোসল করতে চাই, আমার সুন্দর চুলগুলোর যত্ন নিতে চাই। বর্তমান নিয়মে আমাকে ১৫ মিনিট শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় – যা একেবারেই হাস্যকর!’