spot_img

আপত্তিকর ছবি চায় হৃতিক, একাধিক অভিযোগ কঙ্গনার

অবশ্যই পরুন

পুরোনো প্রেম সব সময় মধুর হয় না। কখনও কখনও রয়ে যায় তিক্ততা। হৃতিক রোশন ও কঙ্গনা রানাওয়াতের সম্পর্ক ঠিক তেমনই—যেখানে ভালোবাসার থেকে বেশি জায়গা করে নিয়েছে অভিযোগ, তিক্ততা ও বিবাদ।

২০১৪ সালে স্ত্রী সুজান খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে হৃতিকের জীবনে এসেছিলেন কঙ্গনা। শোনা যায়, প্যারিসে হৃতিক তাকে প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। তবে সবকিছু চলছিল গোপনে।

‘কৃষ ৩’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করে তারা সুপারহিট হন। কিন্তু ছবির সাফল্য ম্লান হতেই সম্পর্কেও আসে ফাটল। তারপর শুরু হয় বিতর্ক।

কঙ্গনা অভিযোগ করেন, হৃতিক নাকি তাকে ভুল প্রেমের ফাঁদে ফেলে মনের খেলা খেলেছেন। এরপর তো ইমেইল কাণ্ড! কঙ্গনার দাবি—হৃতিক তাকে আপত্তিকর ছবি পাঠাতেন ও এমন ছবি চাইতেন। হৃতিক অবশ্য এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে আইনি পদক্ষেপ নেন।

২০১৫ সালে কঙ্গনা রানাওয়াত এবং হৃতিক রোশনের মধ্যে ইমেইল বিতর্ক বলিউডে রীতিমতো ঝড় তুলেছিল। প্রথমে এই বিতর্ক অনেকটা ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন বলেই মনে হয়েছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আইনি লড়াইয়ে রূপ নেয়।

কঙ্গনা প্রকাশ্যে দাবি করেন, হৃতিক নাকি তাকে প্রেমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারিত করেছিলেন। এমনকি অভিনেত্রী জানান, অভিনেতার তার কাছে ইমেইলের মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি পাঠাতেন এবং একই ধরনের ছবি চেয়েছিলেন তার কাছ থেকেও।

এই অভিযোগ অস্বীকার করে হৃতিক রোশান আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। তার তরফে আইনজীবীরা কঙ্গনার দাবিকে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে দাবি করেন। সেই সময় তাদের মধ্যে একের পর এক নোটিশ, পালটা নোটিশ ঘুরতে থাকে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের গণ্ডি ছাড়িয়ে এই ঘটনাকে ঘিরে মিডিয়ায় তৈরি হয় প্রবল চর্চা।

তবে হৃতিক আইনি সাহায্য নেওয়ার পর কঙ্গনা কিছুটা চাপে পড়লেও, তার ঠোঁটকাটা স্বভাবের কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরং সময় যত গড়িয়েছে, কঙ্গনা তত বেশি করে নিজের অবস্থানকে জোরালো করেছেন। যেকোনও প্ল্যাটফর্মে হৃতিকের প্রসঙ্গ উঠলেই, কঙ্গনা সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। আবার হৃতিকের কোনও ছবি মুক্তি পেলেই, কঙ্গনা সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নেগেটিভ পাবলিসিটি করেছেন।

বলিউডের ‘মণিকর্ণিকা’ কঙ্গনা যেন প্রতিজ্ঞা করেছেন—হাতে না মারলেও, হৃতিককে ‘ভাতে’ মারবেন। তার বক্তব্যে বারবার উঠে আসে—হৃতিক তাকে শুধু ঠকাননি, আত্মসম্মানেও আঘাত করেছেন। তাই সুযোগ পেলেই কঙ্গনা তার ক্ষোভ জানাতে ছাড়েন না। সময়ের সঙ্গে বিতর্কের রকমফের বদলালেও, এই দ্বন্দ্বের আঁচ এখনও পুরোপুরি নিভে যায়নি।

ধর্ষিতার নাম প্রকাশ করে ফেঁসে গেলেন অভিনেত্রী

কখনও কন্ডোমের বিজ্ঞাপন করে খবরের শিরোনাম, কখনও নগ্ন হয়ে। পূজা বেদীর নাম উচ্চারিত হলে এখনও বলিউড নড়ে বসে। নতুন করে ফের চর্চায় অভিনেত্রী।

২০১৯ সালে অভিনেতা ও সঞ্চালক করণ ওবেরয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল ধর্ষণের মামলা। সেখানে নাম জড়িয়েছিল পূজারও। ছ’বছর পরেও সেই মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন না অভিনেত্রী।

পূজার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন তিনি। সেখানেই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করেন তিনি।

এই ঘটনায় আন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন অভিযোগকারিণী।

এরপর গত সোমবার দায়রা আদালত সেই মামলা বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, পূজা-সহ আটজনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তাই মামলা খারিজ করার প্রশ্নই উঠছে না।

কী ঘটেছিল ৬ বছর আগে? পুলিশ সূত্রে খবর, অভিনেতা করণ ওবেরয়ের বিরুদ্ধে এক মহিলা জ্যোতিষীকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পরে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয় অভিনেতার পক্ষ থেকে।

এই সময়ই পূজা নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের ডাকেন বলে দাবি অভিযোগকারির। সেখানে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে দেন পূজা, অন্বেষী জৈন, চৈতন্য ভোঁসলে, ভারকে পটানি, গুরবাণী ওবেরয়, শেরিন ভার্গেস, সুধাংশু পাণ্ড্য এবং দীনেশ তিওয়ারি।

ধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ ভারতীয় আইন অনুযায়ী অপরাধ। যে কারণে ফেঁসে যান এই অভিনেত্রী।

দায়ের করা মামলায় সে কথা উল্লেখ করে নির্যাতিতা জানান, নাম প্রকাশিত হওয়ায় তার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন সাংবাদিক-সহ নানা পেশার মানুষ। ইউটিউব, সামাজিক মাধ্যমে এবং সংবাদমাধ্যমে খবরটি সে সময়ে ভাইরাল হয়।

মহিলার অভিযোগ, এতে তার মানহানি হয়েছে, কাজের ক্ষতি হয়েছে। আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। পূজা-সহ মোট আট জন ব্যক্তি ধর্ষিতার নামপ্রকাশের সঙ্গে যুক্ত। ফলে এখনই রেহাই পাচ্ছেন না অভিনেত্রী।

সর্বশেষ সংবাদ

পাঁচশ’ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজে ১০ এমবিপিএস গতির সেবা পাবেন গ্রাহকরা

৫০০ টাকার ইন্টারনেট প্যাকেজে ১০ এমবিপিএস গতির সেবা পাবেন গ্রাহকরা। আগে গতি ছিল ৫ এমবিপিএস। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল)...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ