লম্বা সময় পর প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের সামনে আর্সেনাল। ২০০৬ সালের পর আজ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনাল আতিথেয়তা দেবে রিয়াল মাদ্রিদকে। ২০০৮-০৯ মৌসুমের পর প্রথমবার ইউরোপের শীর্ষ প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে খেলার পথটা মোটেও সহজ নয় গানার্সদের জন্য। আর্সেনাল বনাম রিয়াল মাদ্রিদ– চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হচ্ছে জনপ্রিয় এ দুই দল।
বেলিংহাম সেখানে রিয়ালের হয়ে গোলের সন্ধানে নামবেন, ছেড়ে কথা বলবেন না সাকাও। “ম্যাচটির গুরুত্ব জানি আমরা দু’জনই। রিয়াল অবশ্যই বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। তবে আমরাও ঘরের মাঠে তাদের ছেড়ে দেব না। তা ছাড়া রিয়াল মাদ্রিদ জানে কেমন হয় ইংলিশ চ্যালেঞ্জ।’
গর্ব নিয়ে কথাগুলো বললেও বেলিংহামের উত্তরটি জানা যায়নি। কেননা এই আসরের প্লে-অফেই তারা ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিকে বিধ্বস্ত করে এসেছে। তবে লা লিগায় শেষ ম্যাচটি ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হোঁচট খাওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদের লকার রুমের বাতাস নাকি ভারী– স্প্যানিশ আউটলেট মার্কার দাবি অন্তত তেমনই। যে দলে বেলিংহামের মতো মিডফিল্ডার রয়েছেন, ভিনির মতো গতিসম্পন্ন ফরোয়ার্ড রয়েছেন, ফর্মে থাকা ফিনিশার এমবাপ্পে আছেন– সেই দলের আর্সেনালকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কথা নয়।
তবে এই মুহূর্তে তাদের যা একটু দুর্বলতা, তা হলো কয়েকজন খেলোয়াড়ের ইনজুরি নিয়ে। গোলপোস্টের নিচে গত তিন ম্যাচে তারা পায়নি কর্তুয়াকে। তবে গতকাল দলের সঙ্গে মাদ্রিদ থেকে লন্ডনে নিয়ে এসেছে তাঁকে। হয়তো আজ তাঁকে দেখা যাবে প্রথম একাদশে। কারভাজাল, মেন্ডি, কার্বাহাল, মিলিতাওদের অনেকে চোটে রয়েছেন। তাই আজ উত্তর লন্ডনের ক্লাবটির বিপক্ষে কৌশলী হয়েই মাঠ সাজাতে হবে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ আনচেলেত্তিকে।
এই মুহূর্তে দুটি দলই নিজেদের ঘরোয়া লিগে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দুটি দল মাঠে হাই ইনটেনসিটি খেলা খেলে থাকে। রক্ষণাত্মক নয় বরং আক্রমণেই বেশি উন্মুখ হয়ে থাকে তারা। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ এ পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ২৮টি গোল করেছে, ম্যাচপ্রতি গোলের গড় ২.৩৪। আর্সেনাল সেখানে ১০ ম্যাচে ২.৫ গড় নিয়ে মোট ২৫ গোল করেছে।