spot_img

পিএসএলের জন্য ছাড়পত্র চেয়েছেন নাহিদ রানা

অবশ্যই পরুন

বাংলাদেশ ক্রিকেটে ধ্রুবতারা মতো আবির্ভাব নাহিদ রানার। গেল বছর সাদা পোশাকে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তার। এরপর থেকে বল হাতে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন তরুণ এই পেসার। গতি দিয়ে অল্প কদিনের মাঝেই পুরো বিশ্বের নজরে চলে আসেন তিনি। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ পিএসএলেও।

গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নাহিদকে দলে টেনেছিল পেশোয়ার জালমি। যে দলে রয়েছেন বাবর আজম, সাইম আইয়ুবদের মতো ক্রিকেটার। এবারের পিএসএলের জন্য এরইমাঝে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছেন এই পেসার। তবে পিএসএলে দল পাওয়া লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ও উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাসের আবেদন এখনও বোর্ডের কাছে পৌঁছায়নি।

সোমবার (১৭ মার্চ) বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘নাহিদ এনওসি চেয়ে আবেদন করেছে। লিটন ও রিশাদের চিঠি এখনও হাতে পাইনি। হয়তো দুই-একদিনের মধ্যে করতে (আবেদন) পারে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স তাদের তাদের বিষয়টি ভেবে দেখবে।’

আগামী ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে পিএসএলের দশম আসর। আর এদিকে ২০ এপ্রিল থেকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। লিটন ও নাহিদ টাইগার টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য। তাই পাকিস্তানের লিগে তাদের খেলার অনুমতি নাও দিতে পারে বিসিবি। তবে রিশাদ পেতে পারেন ছাড়পত্র। তাকে দলে ভিড়িয়েছে লাহোর কালান্দার্স। আর লিটনকে নিয়েছে করাচি কিংস।

এর আগে গত শনিবার রাজধানীর পাঁচ তারকা একটি হোটেলে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পিএসএলের এনওসি চেয়ে তখনও কেউ আবেদন করেননি। এনওসি চাইলে তখন সে ব্যাপারে চিন্তা করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন বোর্ডপ্রধান। তবে জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করেন, এ ধরনের টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের যাওয়া উচিত।

গতকাল সোমবার (১৭ মার্চ) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাহিদ রানা, রিশাদ হোসেনদের পিএসএলে খেলা নিয়ে নাজমুল শান্ত বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এই ধরনের টুর্নামেন্টে খেলা উচিত। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট অবশ্যই খেলা উচিত। তবে এটা পুরোটা নির্ভর করবে ক্রিকেট বোর্ড, কোচ, অধিনায়ক—সবকিছুর ওপর।’

এই ধরনের ক্রিকেটের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে বাঁহাতি এই ব্যাটার আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় যদি আমাদের ক্রিকেটাররা খেলা শুরু করে, তাহলে একটা অভিজ্ঞতা তৈরি হবে এবং ওই দায়িত্বটা নেওয়া শিখবে। বাইরের যে ক্রিকেটাররা আছে, তাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করা, সব মিলিয়ে ভালো একটা অভিজ্ঞতা হবে। আশা করবো, এই ধরনের টুর্নামেন্টে আমাদের ক্রিকেটাররা সামনের দিকে খেলার সুযোগ পাবে।’

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদে জরুরি সেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একগুচ্ছ নির্দেশনা

আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে হাসপাতালগুলোতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) অধিদফতরের এক...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ