spot_img

শপথ নিলেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী

অবশ্যই পরুন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নি কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। কানাডার নতুন এই প্রধানমন্ত্রী ফরাসি এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই শপথ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

মন্ত্রীদের মধ্যে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আন্তঃসরকারি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর অন্যরা শপথ নিচ্ছেন।

এর আগে, শপথ গ্রহণের প্রস্তুতির সময় কার্নি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আজ আমরা সময়োপযোগী একটি সরকার গঠন করেছি।

এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মার্ক কার্নি।

তিনি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। ৫৯ বছর বয়সি কার্নি বিজয়ী হওয়ার পর এক বক্তৃতায় ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি (ট্রাম্প) কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং বলেছেন যে, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্যে পরিণত করতে চান। কিন্তু আমেরিকানদের কোনো ধরনের ভুল করা উচিত নয়। হকি খেলায় কানাডা যেমন জয়ী হয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধেও তারা জয়ী হবে।

কানাডায় গত রবিবার সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই করা হয়।

এতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। গত সোমবার অটোয়ায় ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তর নির্বিঘ্ন ও দ্রুত হবে।’

অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নি কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। কার্নি এমন একসময় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে।

প্রায় এক দশক ধরে দায়িত্ব পালনের পর গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। সে সময় থেকেই দেশের নেতৃত্ব কার হাতে যাবে তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর তার উত্তরাধিকার বাছাইয়ে জয়ী হন মার্ক কার্নি।

ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় বিশেষ করে আবাসন সংকট এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে চাপের মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো।

নিয়ম অনুযায়ী যিনি হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন তিনিই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। সে হিসেবে মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফাঁদে ৪১ দেশ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন, যা বিশ্বের ৪১টি দেশকে প্রভাবিত করতে পারে। বার্তা সংস্থা...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ