গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদ্রাসায় শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করে ওই শিক্ষক বলেন, ‘শয়তানের ধোঁকায় পড়ে করে ফেলেছি’।
শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় লোকজন আবদুল মালেক (২৫) নামে ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা। মালেক মাওনা এলাকার একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা গ্রামে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় সাত বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন শিক্ষক মালেক। এর পর থেকে শিশুটি মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছিল না। গতকাল ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে এ ঘটনা জানালে সন্ধ্যায় তার পরিবারের সদস্য ও এলাকার লোকজন আবদুল মালেককে আটক করে। একপর্যায়ে তিনি ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ধর্ষণচেষ্টার কথা স্বীকার করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে আতিকুর রহমান নামের একটি ফেসবুক আইডিতে ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওতে মালেককে বলতে শোনা যায়, ‘আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে করে ফেলেছি। এমন কাজ আমি আর কখনো করিনি। তাকে খারাপ কাজ করিনি।’
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আখতার বলেন, গতকাল রাতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিশুটির বাবা মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।