spot_img

রমজানে প্রিয় নবীজি (সা.) এর প্রিয় আমল

অবশ্যই পরুন

‘তাহাজ্জুদ’ শব্দের অর্থ কষ্ট-ক্লেশ, শ্রম-পরিশ্রম। সন্ধ্যারাতে ঘুমিয়ে মধ্যরাতের পর শয্যাত্যাগ করাকে তাহাজ্জত বলা হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের সময় রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে তথা রাত দুইটার পর থেকে ফজরের ওয়াক্ত আরম্ভ হওয়ার আগপর্যন্ত। সাহ্‌রির সময় শেষ হলে তথা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ হয়। তাই তাহাজ্জতের আগে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ পড়া উত্তম।

প্রিয় নবীজি (সা.) প্রতি রাতেই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। তাই এটি সুন্নত, অতিরিক্ত হিসেবে নফল। নবীজি (সা.)-এর জন্য এটি অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারিত নফলের মধ্যে তাহাজ্জুদ সর্বোৎকৃষ্ট আমল। হজরত আলী (রা.) বলেছেন, ‘যাঁরা রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়েছেন, তারাই আধ্যাত্মিক জগতে আল্লাহর নৈকট্য লাভে ঊর্ধ্বারোহণ করেছেন।’ (দিওয়ানে আলী, নাহজুল বালাগা) তাহাজ্জুদ হলো মোক্ষ লাভের মোক্ষম মাধ্যম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজগুলোর পর উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদ।’ (মুসলিম, আলফিয়্যাহ, পৃষ্ঠা: ৯৭, হাদিস: ৪০৫)

উম্মুল মুমিনিন আয়িশা সিদ্দিকা (রা.) ও উম্মে ছালামাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তিনটি আমল কখনো পরিত্যাগ করেননি—তাহাজ্জুদ নামাজ, প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ ‘আইয়ামে বিদ’-এর রোজা পালন ও রমজানের শেষ দশক ইতিকাফ। (জামিউস সগির ও সহিহ বুখারি: ১৯৭৫)

রমজান মাসে ফরজ রোজা পালনের নিমিত্তে সাহ্‌রি খাওয়ার সুন্নত আদায়ের জন্য উঠতে হয় এবং সাহ্‌রির সময়ই হলো তাহাজ্জুদের সময়। সুতরাং রমজানে তাহাজ্জুদ আদায় করা খুবই সহজ। তাহাজ্জুদ ২ রাকাত করে ৮ রাকাত, ১২ রাকাত বা আরও কম বা বেশিও পড়া যায়। রমজানের নফলের সওয়াব ফরজের সমান, ফরজের সওয়াব ৭০ গুণ। তাই রমজানে তাহাজ্জুদের সহজ ও সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ।

আল্লাহ তাআলা সেই স্ত্রীর প্রতি রহম করেছেন, যে নিজে রাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে এবং তার স্বামীকে জাগায়। যদি সে উঠতে অস্বীকার করে, তবে তার মুখমণ্ডলে পানির ছিটা দেয়।’ (আবু দাউদ ও নাসায়ি, আলফিয়্যাতুল হাদিস, পৃষ্ঠা: ৯৭, হাদিস: ৪০৭)

নফল নামাজে রুকু, সিজদাসহ প্রতিটি পর্ব দীর্ঘ করা সুন্নত। এ জন্য রুকু ও সিজদায় তাসবিহ অনেকবার পড়া যায় এবং অন্যান্য অবস্থানেও বেশি পরিমাণে বিভিন্ন দোয়া, যা কোরআন-সুন্নাহতে রয়েছে, তা পাঠ করা যায়। নামাজ দীর্ঘ করার জন্য দীর্ঘ কিরাত পাঠ করা বিধেয়।

দীর্ঘ কিরাত মুখস্থ না থাকলে একই রাকাতে একই সুরা বারবার এবং বিভিন্ন সুরা ও বিভিন্ন আয়াতও একই রাকাতে পড়া যায়। এ অবস্থায় বিভিন্ন রাকাতে বা প্রতি রাকাতে একই সুরা কিরাত পড়তেও বাধা নেই। সুন্নত ও নফল নামাজে কিরাতে তিলাওয়াতের তারতিব বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখাও জরুরি নয়।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

সৌদি আরবের বেশকিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দেশটির সিভিল ডিফেন্সের সাধারণ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ