চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনাল উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে কপাল পুড়েছে আফগানিস্তানের; ইংল্যান্ডের সঙ্গে তাদেরও বিদায় ঘণ্টা বেজেছে। এদিকে, ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। শুধু অবস্থান নয়, টাকার অংকেও ইংল্যান্ডের হারে বেশ লাভ হয়েছে বাংলাদেশের।
প্রোটিয়াদের সঙ্গী হয়েছে স্টিভ স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। করাচিতে ব্যাটিং, বোলিং না ফিল্ডিং—কোনো বিভাগেই লড়তে পারেনি ইংল্যান্ড। নিদারুণ ব্যাটিং ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭ উইকেটে হেরে একেবারে খালি হাতেই এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ফিরতে হচ্ছে ইংল্যান্ডের।
করাচির এ ম্যাচেও ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। ৩৮.২ ওভারে ১৭৯ রানেই গুটিয়ে যাওয়া সেটিরই প্রমাণ। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন জো রুট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন জোফরা আর্চার। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ী ম্যাচে ৪৩ বলে ২১ রান করেন বাটলার।
আগের দুই ম্যাচের মতোই ব্যর্থ হন ফিল সল্ট, জেমি স্মিথ ও হ্যারি ব্রুক। শুরুতে ধস নামান মার্কো ইয়ানসেন। তিনি শিকার ধরেন তিনটি। আর শেষে উইয়ান মুলডার তিনটি ও কেশব মহারাজ দুটি উইকেট পান। বাটলারের অধীনে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। পরের আসরে খেলে সেমিফাইনাল। কিন্তু ২০২৩ বিশ্বকাপের মতো ওয়ানডে ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও গ্রুপ পর্ব থেকেই ঝড়ে যেতে হলো দেশটিকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৮০ রানের। ত্রিস্টান স্টাবস (০) আর রায়ান রিকেলটনের (২৭) স্টাম্প উড়িয়ে জোফরা আর্চার একটু আশা দেখালেও লড়াই করা হয়ে উঠেনি ইংল্যান্ডের।
৫৬ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ৬৪ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে জয়ের কাছাকাছি এসে ফেরেন হেনরিখ ক্লাসেন। ৮৭ বলে ৬ চার আর ৩২ ছক্কায় ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন রসি ভ্যান ডার ডাসেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন ডেভিড মিলার।
প্রসঙ্গত, আগেই জানা হয়ে গিয়েছিল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরে পাকিস্তানের ওপরে থেকে সপ্তম স্থান নিশ্চিত বাংলাদেশের। এরই মধ্যে দেশেও ফিরে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিন্তু হিসেব-নিকেশ তখনও শেষ হয়নি।
যেহেতু আইসিসির টুর্নামেন্ট, প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটি অবস্থানই আলাদা গুরুত্বের। বাংলাদেশের সমর্থকদের তাই চোখ ছিল ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দিকে।
এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হার কামনা করেছেন বাংলাদেশি সমর্থকরা। কেননা ইংলিশরা হেরে গেলেই কেবল সাত নম্বর থেকে ষষ্ঠ স্থানে ওঠার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। টাইগারদের সমর্থকদের সে চাওয়া পূরণ হয়েছে।