spot_img

বৃষ্টির কারণে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া, কঠিন সমীকরণ আফগানিস্তানের সামনে

অবশ্যই পরুন

বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে, দু’দলকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়। এতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সেমিফাইনালের জায়গা দখল করেছে অস্ট্রেলিয়া।

যদিও এটি আফগানিস্তানের জন্য এটি বড় ধাক্কা, কারণ তাদের এখন সেমিফাইনালে যেতে হলে কঠিন সমীকরণ মিলাতে হবে। আগামীকাল শনিবার (১ মার্চ) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে গেলে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট হবে সমান ৩। যদিও রান রেটে পিছিয়ে থাকায় আফগানিস্তানই ছিটকে পড়তে পারে। আফগানিস্তানকে সেমিফাইনালে যেতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্তত ২০৭ রানে হারতে হবে, যা প্রায় অসম্ভব।

এদিকে লাহোরের এই ম্যাচটি আফগানদের জন্য প্রতিশোধের মঞ্চ হতে পারতো। কিন্তু শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জেতার সম্ভাবনা জাগিয়েও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ইনিংসে হেরে গিয়েছিলো তারা। এবারও তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলো।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩ রানে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ফিরে গেলেও সেদিকউল্লাহ অটলের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ৩০ ওভারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল আফগানদের হাতে। ৯৫ বলে ৮৫ রান করা অটল আউট হওয়ার পর ৩১.২ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোর ছিলো ৪ উইকেটে ১৫৯। তবে এরপর ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন ঘটে।

অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি ৪৯ বলে মাত্র ২০ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

এরপর নবী ও গুলবদিন নাইব দ্রুত ফিরে গেলে ১৯৯ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। শেষদিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ৬৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংস এবং রশিদ খানের সঙ্গে ৩৬ রানের পার্টনারশিপে দল ২৭৩ রানে পৌঁছায়।

২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া দুর্দান্ত সূচনা করে। ট্রাভিস হেড শুরুতে রশিদ খানের সহজ ক্যাচে জীবন পান, এরপর থেকেই তার ঝড়ো ব্যাটিং শুরু হয়। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই অস্ট্রেলিয়া ৯০ রান তুলে নেয়, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ৩৪ বলে ফিফটি করেন হেড।

কিন্তু এরপরই বাগড়া দেয় বেরসিক ১২.৫ ওভারে ১ উইকেটে ১০৯ রান তোলার পরই নামে বৃষ্টি, যা পরবর্তী সময়ে আর থামেনি। ফলে ম্যাচটি বাতিল হয় এবং দুই দলকে ১ পয়েন্ট করে ভাগ করে দেয়া হয়। এতে অস্ট্রেলিয়ার কোনো ক্ষতি না হলেও, আফগানিস্তানের সেমিফাইনালের স্বপ্ন প্রায় শেষ হয়ে যায়।

এদিকে এই ম্যাচে এক লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন অজি বোলাররা। ১৭টি ওয়াইডসহ মোট ৩৭টি অতিরিক্ত রান দেয় তারা। এটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এক ম্যাচে তাদের সর্বোচ্চ।

সর্বশেষ সংবাদ

ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এক...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ