spot_img

এনসিপির আত্মপ্রকাশ: স্লোগান-মিছিলে উচ্ছ্বাস, সমাবেশে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক নেতারা

অবশ্যই পরুন

তরুণদের নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, রাজনৈতিক দলের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে শুরু হয় এ আনুষ্ঠানিকতা। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে পবিত্র কোরআন পাঠের মধ্যে দিয়েছে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। পরে গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।

জাতীয় সঙ্গীতের পর জুলাই অভ্যুত্থানের একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। এরপরই মঞ্চে ওঠেন নতুন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। জুলাই অভ্যুত্থানের ইমাম অভিহিত করে তাকে মঞ্চে ডাকা হয়।

এরপর একে একে মঞ্চে ওঠেন সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সামান্তা শারমিন, হান্নান মাসউদ থেকে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।

পরে মঞ্চে দেখানো হয় দ্বিতীয় ডকুমেন্টারি। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় নতুন দলের নাম, জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি।

সমাবেশস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া মেডিকেল টিম, অস্থায়ী ওয়াশ রুম, পুলিশ বুথ, নারীদের জন্য পৃথক বুথ, ভিআইপি বুথ ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এই নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আমন্ত্রিত হয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ইসলামী ঐক্য জোটের সহ-সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন ও মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, খেলাফত মজলিসের আহমদ আব্দুল কাদের, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাশেমী এবং এবি পার্টির মো. দিদারুল আলম সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল মান্নান, মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিও উপস্থিত ছিলেন। কূটনীতিবিদদের মধ্যে পাকিস্তান হাই কমিশনের কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গাল উপস্থিত থেকে এই সমাবেশ পর্যবেক্ষণ করেন।

নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে এই নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দলের সদস্যসচিব হিসেবে আছেন আখতার হোসেন। এছাড়া সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার (নিভা)। প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং যুগ্ম সমন্বয়ক হিসেবে আছেন আবদুল হান্নান মাসুদ। দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক করা হয়েছে হাসনাত আবদুল্লাহকে এবং উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক করা হয়েছে সারজিস আলমকে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জানান, সমাবেশে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা অংশ নিয়েছেন। দেশের ৬৪ জেলা থেকেই নেতা-কর্মীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আতশবাজির বিকট শব্দে নতুন বছরকে বরণ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন চললেও নতুন বছরের শুরুতে ঢাকা মহানগর পুলিশের...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ