ঘটনা গত শনিবারের (২২ ফেব্রুয়ারি)। কিন্তু ঘটনার ভিডিও এখনো ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলোতে। যেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ইসরায়েলি পাঁচ বন্দিকে ছেড়ে দিচ্ছে হামাস। ছাড়ার আগে হামাস সশস্ত্র বাহিনীর একজনের কপালে চুমু খাচ্ছেন ইসরায়েলি এক জিম্মি।
মূলত কারাগারে আটক শত শত ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে গাজা থেকে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ ইসরায়েলি বন্দিকে ছেড়ে দেয় হামাস।
কিন্তু এই ঘটনা মানুষের নজরকাড়ে যখন জিম্মিদের মধ্যে একজন মঞ্চে হাত নাড়তে নাড়তে দুই হামাস যোদ্ধার কপালে চুমু খায়। এই ঘটনার পর কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, তাল শোহাম ও আভেরা মেনগিস্তু নামের দুই বন্দিকে আজ দক্ষিণ গাজার রাফায় একটি মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার পর রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে আরও তিন বন্দি এলিয়া কোহেন, ওমর ওয়েনকার্ট এবং ওমর শেম টভকে মধ্য গাজাইনের নুসেইরাতে রেডক্রসের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, নজিরবিহীন দৃশ্যে ২২ বছর বয়সী ওমর শেম টভকে মধ্য গাজার নুসেইরাতে বন্দুকধারী মুখোশধারী হামাস সদস্যদের কপালে চুম্বন করতে দেখা গেছে। সমবেত জনতার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে ও হাত নাড়তে দেখা যায় তার সাথে থাকা বাকি দুই ইসরায়েলি বন্দিকেও। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে একটি উৎসব থেকে তাদের অপহরণ করেছিলো হামাস।
এদিকে ওমর শেম টভের বাবা মালকি শেম টভ ইসরায়েলি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ৫০৫ দিনের উদ্বেগ, ভয় ও আকাঙ্ক্ষার পর অবশেষে ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার মিশন সম্পন্ন হয়েছে।
ওমরের দাদী সারা বলেন, ওমর খুব হাসিখুশি। সে সবার সঙ্গে মিশে যায়। এমনকি হামাস…। ওরা (হামাস সদস্যরা) ওখানেও ওকে (ওমর) ভালবেসেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে মুক্তি পাওয়া ৩৩ জন ইসরায়েলির মধ্যে আর ছয় জন বাকি ছিলেন। ৫ জন মুক্তি পেলেও হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য নাঈম জানান, ‘মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে শত্রুদের সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনার শর্ত হচ্ছে আগে ৬২০ বন্দীকে মুক্তি দিতে হবে, যাদের ৬ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি এবং ৪ জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এবং জিম্মি মুক্তির সময় অসম্মানজনক অনুষ্ঠান বাতিল না করা পর্যন্ত ৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দী ও বন্দীদের হস্তান্তর করার অপেক্ষা করবে ইসরায়েল।’