সিরিয়ার সেনা ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। সেখানে পাওয়া অস্ত্র জব্দ বা ধ্বংস করেছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এই তথ্য জানায়।
প্যারাট্রুপারস ব্রিগেডের সেনারা বলেছে, ‘অভিযানের সময় প্যারাট্রুপার্স ব্রিগেডের সৈন্যরা সিরিয়ার আগের সরকারি বাহিনীর ফেলে যাওয়া রাইফেল, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম খুঁজে পায়। খুঁজে পাওয়া সবকিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।‘
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে তারা এ ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে, যার মধ্যে অস্ত্র শনাক্ত, জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা ৪৭৪তম ব্রিগেডের এক ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সামরিক বাহিনীর প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে বলেছেন, ‘অভিযানের লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সমস্ত অস্ত্র ও সক্ষমতা ধ্বংস করা।‘
তিনি বলেন, ‘এটি ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ যেখানে আমরা রকেট, বিস্ফোরক এবং মাইন, অন্যান্য বিস্ফোরক এবং এমনকি ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া কর্মী বাহকও খুঁজে পেয়েছি, যেগুলো আমরা ধ্বংস করেছি।’
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরাইলি বাহিনী হারমন পর্বতের চূড়ায় এবং সিরিয়া সীমান্তের বাফার জোনে অনির্দিষ্টকালের উপস্থিতি বজায় রাখবে।‘ তিনি দামেস্কের দক্ষিণের অঞ্চলটিকে বেসামরিকীকরণের আহ্বান জানান।
গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমি ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী বেসামরিক এলাকা বাফার জোনে স্থলবাহিনী মোতায়েন করে ইসরাইল। বাফার জোনটি জাতিসঙ্ঘের ডিসএনগেজমেন্ট অবজারভার ফোর্সের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যা ১৯৭৪ সালের ডিসএনগেজমেন্ট সম্পর্কিত চুক্তির অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও, ইসরাইল পরে মাউন্ট হারমনের সিরিয়ান-নিয়ন্ত্রিত অংশে ‘কৌশলগত পয়েন্ট‘ হিসেবে বর্ণনা করে এবং দাবি করে যে, এই পদক্ষেপটি ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি