ভারতীয় ইসলামী চিন্তাবিদ ও বক্তা ড. জাকির নায়েকের প্রকাশ্যে বক্তৃতা দেয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে মালয়েশিয়া। ২০১৯ সালে সাময়িকভাবে তাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল, তবে বর্তমানে এ সংক্রান্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির মালয় মেইল, দি স্টার, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে অনলাইন’সহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন দেশটির সংসদে এক বক্তব্যে বলেন, সরকার জাকির নায়েকের প্রকাশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। ২০১৯ সালে একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা ছিল, তবে এটি এখন কার্যকর নেই। এর আগে, দেশটির সংসদ সদস্য আরএসএন রায় এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন।
২০১৯ সালে পুলিশের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কথিত গ্যাগ অর্ডার জারি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল বলে জানিয়েছে, দেশটির নিউ স্টেইটস টাইমস।
২০১৯ সালে কোতা বারুতে এক ভাষণে জাকির নায়েক মালয়েশিয়ার হিন্দু ও চীনা সম্প্রদায় সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মালয়েশিয়ার হিন্দুরা ভারতের মুসলমানদের তুলনায় ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করেন, তবুও তারা মালয়েশিয়ার সরকারকে সমর্থন করার পরিবর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশি বিশ্বাস করে। চীনা সম্প্রদায় নিয়ে তার মন্তব্য ছিলো, মালয়েশিয়া চীনাদের পুরনো অতিথি হিসেবে দেখে। তাদের দেশে ফেরত পাঠানো উচিত।
এসব বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। সেসময় জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতিগত সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে বক্তৃতা না দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল।
তবে ২০২১ সালে জাকির নায়েক দাবি করেন, তাকে পুলিশ কখনোই জনসমক্ষে বক্তৃতা নিষিদ্ধ করেনি। ওই সময়ের প্রধান সচিবের সঙ্গেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ভারতের মুম্বাইয়ে জন্ম নেয়া ইসলামিক এই ধর্মপ্রচারক অর্থ পাচার এবং বিদ্বেষমূলক বক্তৃতার মাধ্যমে উগ্রতাকে উসকে দেয়ার অভিযোগে অনেক আগে থেকেই ভারতের ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছেন।