মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফের সামরিক আগ্রাসন শুরু হলে ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলের স্বার্থে ফের আঘাত হানার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুতি বিদ্রোহীরা।
গোষ্ঠীটির নেতা আবদুল মালিক আল-হুতি এক ভাষণে বলেন, আমাদের আঙ্গুল বন্দুকের ট্রিগারেই রয়েছে। গাজায় যদি আবার হামলা হয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ সামরিক অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে হুতি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেওয়া হুমকির জবাবে গতকাল মঙ্গলবার হুঁশিয়ারিটি উচ্চারণ করেন তিনি। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই ভাষণে আবদুল মালিক আল-হুতি বলেন, ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র নাকি অন্য কেউ সাহায্য করছে তা তারা দেখবেন না। বরং গাজায় আবারো নজর দিলে তারা নিরাপত্তা, সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েলের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকার অধিবাসীদের তাড়ানোর যে পরিকল্পনা করছেন তারও তীব্র নিন্দা জানান এই হুতি নেতা। তিনি বলেন, এটা হচ্ছে গোটা মুসলিম উম্মাহর ভূখণ্ডগুলো দখলের নেয়ার একটি বিস্তৃত পরিকল্পনার আওতায় একটি ‘ধ্বংসাত্মক ও আগ্রাসী’ প্রকল্প। মুসলমানদের পবিত্র স্থানগুলো দখল করাই হল এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য।
গাজা দখলের পরিকল্পনায় আমেরিকাকে সাহায্য করার ব্যাপারে আরব শাসকদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে আবদুল মালেক বলেন, সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হয়ে গেলে এসব শাসককে ডাস্টবিনে ছুড়ে মারতে বিন্দুমাত্র সময় নেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে দখলদার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়ে বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করা হবে এবং গাজা উপত্যকায় ফের হামলা শুরু হবে।
একইভাবে হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও। তিনি বলেন, আগামী শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া না হলে যুদ্ধবিরতি বাতিল করা হবে। মার্কিন ও ইসরায়েলি নেতার এমন হুমকির পরই হুতির পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি এলো। সূত্র : আল-জাজিরা