spot_img

আমেরিকা গাজার দখল নেবে এবং মালিক হবে: ট্রাম্প

অবশ্যই পরুন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং সেখানকার মালিক হবে।’

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিবিস, সিএনএন, আল জাজিজা ও এবিসি নিউজসহ আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো এই খবর দিয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর পরই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে বাসিন্দাদের অন্য দেশে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার তিনি স্পষ্টই বললেন, ‘গাজার দখল নেবে আমেরিকা। বাসিন্দাদের এখন এলাকা ত্যাগ করা উচিত।’

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন নেতানিয়াহু। গত রোববার বিকেলে আমেরিকায় পৌঁছান তিনি।

সিএনএনের প্রতিবেদন বলা হয়, ‘ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন, তিনি মনে করেন না, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনো স্থায়ী ভবিষ্যত আছে। এবার এ নিয়ে আরও স্পষ্ট বার্তা দিলেন তিনি।’

ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমেরিকা গাজা উপত্যকা দখল করবে এবং এটি নিয়ে কাজ করব আমরা। আমরা গাজার মালিক হব এবং উপত্যকাটিতে থাকা সমস্ত বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্র ভেঙে ফেলা হবে, এলাকা সমতল করা হবে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলো অপসারণ করব।’

গাজার নিরাপত্তা শূন্যতা পূরণের জন্য তিনি মার্কিন সেনা পাঠাতে ইচ্ছুক কিনা জানতে চাইলে, ট্রাম্প তা উড়িয়ে দেননি। তিনি বলেন, ‘গাজার ক্ষেত্রে, আমরা যা প্রয়োজন তা করব। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব। আমরা এলাকাটি দখলে নিয়ে উন্নয়ন করতে যাচ্ছি।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি একটি দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার অবস্থান দেখতে পাচ্ছি এবং আমি দেখতে পাচ্ছি, এটি মধ্যপ্রাচ্যের সেই অংশে, এমনকি সম্ভবত সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যেও দুর্দান্ত স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে।’

তিনি বলেন, ‘এটি হালকাভাবে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত না। আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা সবাই এই ধারণাটি পছন্দ করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই জমির মালিক হবে, উন্নয়ন করবে এবং হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করবে যা দুর্দান্ত হবে।’

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অনেক মাস ধরে বিষয়টি নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করেছেন।

সিএনএন বলছে, গাজাবাসীদের স্থায়ীভাবে এই উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে ট্রাম্পের পরামর্শ একটি উসকানিমূলক অবস্থান। যা তাকে ইসরায়েলের সবচেয়ে রক্ষণশীল রাজনীতিবিদদের কাছে প্রিয় করে তুলবে। তবে ইসরায়েলের প্রতিবেশীদের জন্য এটি একটি অপ্রস্তুত পদক্ষেপ। কারণ এসব দেশ বলেছে, তারা নতুন ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের গ্রহণ করতে আগ্রহী নয়।

সর্বশেষ সংবাদ

বিচার বিভাগ-প্রশাসনে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে মানুষের অধিকার মিলবে: ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে দেশের মানুষ তাদের সত্যিকারের...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ