মুসলমানদের তীর্থস্থান ক্ষেত মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক রাষ্ট্র সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ১০ পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে রিয়াদ সরকার। পরবর্তীকালে তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ।
দেশটির ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) বরাতে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) করা প্রতিবেদনে তথ্যটি জানিয়েছে আরব নিউজ।
বিদেশে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা প্রকৃত ওমরাহ ও হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছেন বলে উদ্বিগ্ন ইসলামাবাদ সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক বছরে রিয়াদ সরকার একাধিকবার ইসলামাবাদের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি ঘোষণা দিয়েছিলেন, যারা হজ বা ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে লিপ্ত থাকবেন- তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হবে।
বিবৃতিতে এফআইএ জানায়, করাচি বিমানবন্দরে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে সৌদি ফেরত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যারা সৌদিতে ওমরাহ পালনের আড়ালে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সংস্থাটি জানায়, ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজনদের সৌদি আরব থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পাকিস্তানের রাজানপুর, কাশমোর, নওশাহরো ফিরোজ, লাহোর, মোহমান্দ, পেশোয়ার এবং লারকানার বাসিন্দারা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা গত কয়েক মাস ধরে সৌদি আরবে ভিক্ষা করে আসছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্তের জন্য করাচির মানব পাচারবিরোধী সার্কেলে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এফআইএ আরও জানায়, বিমানবন্দরগুলোর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিদেশগামী যাত্রীদের কড়া তল্লাশি করা হচ্ছে এবং যারা ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে পাকিস্তানের প্রবাসী কমিউনিটি হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। যেখানে প্রায় ২৫ লাখ পাক নাগরিকের বসবাস। পাকিস্তানের বৈদেশিক রেমিট্যান্সের সবচেয়ে বড় উৎসও এই অভিবাসীরা।