ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরে এসেছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এ মাসের সাথে জড়িয়ে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেককিছু। প্রতিবারের মতো এবারও সেই ভাষার মাসে শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা।
এবারের মেলা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমিতে উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। প্রতিপাদ্য ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।
জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এতে শ্রদ্ধা জানানো হয় ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, আহত ও অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি।
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তরুণদের আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এবারের বইমেলা নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে। বরকত সালাম রফিক জব্বারের বুকের রক্তে যে অঙ্গিকার মাখা ছিলো তাতে ছিলো জুলাই অভ্যুত্থানকে নিশ্চিত করার মহাবিস্ফোরক শক্তি। এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তিনি।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, দেশের সংস্কৃতি উন্নয়নে বাংলা একাডেমির সংস্কার প্রয়োজন। বাংলা একাডেমিকে চলমান সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল তৈরিতে কাজ করবে সংস্কার কমিশন। পরে, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি; মোট ইউনিট ১০৮৪টি। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।