নেইমার জুনিয়রের শুরুটা ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসে। ২০১১ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে সান্তোসের হয়ে খেলেছিলেন নেইমার। সেবার মাঠে একই ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল মেসি-নেইমারকে। তারপর বার্সা-পিএসজি হয়ে আল হিলাল। ইউরোপ-এশিয়া অধ্যায় শেষ করে নেইমার আবারও ফিরলেন কৈশোরের ক্লাব সান্তোসে, যেখানে ছিল তার শুরু।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সান্তোসের উরবানো কালদেইরা স্টেডিয়ামে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় নেইমারকে। স্থানীয় জনপ্রিয় শিল্পীদের গান ও কনসার্টের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল নেইমারকে দেখে আনন্দে ফেটে পড়েন দর্শকরা।
ঘরের ছেলের ঘরে ফেরা, তাই প্রত্যাবর্তনের আয়োজনটাও ছিল বেশ রাজকীয়। যেই ক্লাবের সবুজ ঘাসে ফুটবল নিয়ে ছুটে চলা, সেই নেইমার আবারও ফিরে এলেন সান্তোস এফসি’তে। তার ফিরে আসার এই আনন্দে বড় অক্ষরে বোর্ডে শোভা পায় ‘দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক’ লেখাটি।
ইনজুরির কারণে অনেকটা সময় ধরেই মাঠের বাইরে আছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। এর মধ্যেই সৌদি লিগের ক্লাব আল হিলালের পাঠ চুকিয়ে ৬ মাসের চুক্তিতে ফিরে এসেছেন শৈশবের ক্লাবে। তবে নেইমারকে লম্বা সময়ের জন্য ধরে রাখার কথা জানায় সান্তোস। প্রথমবারের মতো দলটির হয়ে প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত হয়ে জানালেন নিজের লক্ষ্যের কথা।
নেইমার বলেন, আমি জাতীয় দলে ফিরতে চাই। অর্জনের জন্য এখনও একটি বিশ্বকাপ মিশন বাকি আছে। যেটা আমার শেষ সুযোগ বলে মনে করছি। এবং এই এই লক্ষ্যের পেছনোই দৌঁড়াবো।
আল হিলাল ছেড়ে সান্তোষে আসার কারণ সংবাদ সম্মেলনে জানান এই ফরোয়ার্ড। সৌদি আরবে ভালো থাকলেও ফুটবলীয় চুক্তির বাইরের কিছু সিদ্ধান্তকে এগিয়ে রাখলেন এই তারকা।
নতুন যাত্রা প্রসঙ্গে নেইমার বলেন, কিছু সিদ্ধান্ত থাকে যা একেবারে ফুটবলীয় চুক্তির বাইরে অবস্থান করে। আল হিলালে আমি এবং আমার পরিবার ভালোই ছিলম। কিন্তু অনুশীলনে খুব একটা খুশি হতে পারছিলাম না। সুযোগটা পাওয়ার পর দ্বিতীয়বার আর ভাবিনি। এখানে পা রাখার পর মনে হচ্ছে ১৭ বছর বয়সে ফিরে গেছি। খেলার জন্য মুখিয়ে আছি আমি।
সান্তোস দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে বার্সেলোনা, পিএসজি ও আল হিলাল হয়ে নেইমারের ক্যারিয়ারের ট্রেন আবারও এসে থেমেছে শৈশবের ক্লাবে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সান্তোসের বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন নেইমার। এরপর চার বছর খেলেন ক্লাবটির মূল দলে। ২০১৩ সালে লাতিন আমেরিকা ছেড়ে পাড়ি জমান ইউরোপে। বার্সেলোনা, পিএসজি ঘুরে নতুন ঠিকানা হয় মধ্যপ্রাচ্য। তবে, সৌদি ক্লাব আল-হিলালে মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। দেড় বছরে মাত্র সাত ম্যাচ আর ১ গোলেই শেষ হয় নেইমারের সৌদি পর্ব।