এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পেসএক্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে নাসার দুই নভোচারীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে। গত মঙ্গলবার তিনি এই আহ্বান জানান বলে সংবাদমাধ্যমগুলোর সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দিনের শুরুতে মাস্ক বলেছিলেন, ট্রাম্প তাকে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ দুই মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। মাস্ক বলেছেন, ‘আমরা তা করব।’ আগামী মার্চে বুচ ও সুনিতাকে স্পেসএক্সের মহাকাশযানে করে ফিরিয়ে আনার সময় নির্ধারণ করেছে নাসা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে লিখেছেন, ‘আমি দুই সাহসী নভোচারীকে ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ক ও স্পেসএক্সকে অনুরোধ করেছি। যাদের জো বাইডেন প্রশাসন কার্যত মহাকাশে ফেলে রেখে এসেছিলো।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তারা দুজন মহাকাশ স্টেশনে অনেক মাস ধরে অপেক্ষা করছেন। ফলে শিগগিরই তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। আশা করি, সবাই নিরাপদে থাকবেন। শুভকামনা ইলন।’
গত বছরের আগস্টে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় ওই দুই নভোচারীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য স্টারলাইনারকে খুব ঝুঁকিপূর্ণ বলে গণ্য করেছিল নাসা। ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানে করে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য স্পেসএক্সের শরণাপন্ন হয়েছিল সংস্থাটি।
ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানটি ইতোমধ্যে মহাকাশ স্টেশনে রয়েছে। এটি বুচ ও সুনিতার জন্য দুটি খালি আসন নিয়ে নাসার ক্রু-৯ নভোচারী রোটেশন মিশনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেয়।
গত বছরের ৫ জুন বোয়িংয়ের মালিকানাধীন মহাকাশযান স্টারলাইনারে করে আট দিনের পরীক্ষামূলক মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। কিন্তু মহাকাশযানটির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই মিশন প্রায় এক বছর স্থায়ী হতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, জো বাইডেন প্রশাসন কার্যত তাদের মহাকাশে ফেলে রেখে এসেছিলো।
নাসা গত বছরের ডিসেম্বরে জানিয়েছিলো, ক্রু-৯ মহাকাশযানে করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নভোচারীদের ফিরিয়ে আনার সময় পিছিয়ে মার্চে নেওয়া হয়েছে। কারণ, স্পেসএক্সের একটি নতুন ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে আরও সময় লাগবে। এটি ক্রু-১০ মিশনে ব্যবহার করা হবে।
নাসা আরও জানিয়েছে, বুচ, সুনিতাসহ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সাতজন নভোচারী রয়েছেন। তারা সুস্থ আছেন এবং স্টেশনে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান